দেশের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আর থাকছে না দলীয় প্রতীক। নির্বাচনে অংশ নিতে হলে সব প্রার্থীকে নির্দলীয় পরিচয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুর পৌনে একটার দিকে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে স্থানীয় সরকার বিভাগের উত্থাপিত চারটি সংশোধনী আইন অনুমোদন করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।
তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জানান, এই সংশোধনের ফলে রাজনৈতিক দলগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আর কোনো প্রার্থী মনোনয়ন দিতে পারবে না। সব প্রার্থী হবেন নির্দলীয়, যাদের আমরা সাধারণত স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চিনি।
এর আগে গত ১ জুলাই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট চারটি অধ্যাদেশের খসড়া তৈরি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠায়। উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদনের পর তা লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের অনুমতি নিয়ে গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক চালু হয়। এরপর থেকে নির্বাচন বিশেষজ্ঞ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বারবার এই পদ্ধতির বিরোধিতা করে আসছিলেন।
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ও স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনও দলীয় প্রতীক বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছিল। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এই পরিবর্তনের ফলে রাজনৈতিকভাবে সম্পৃক্ত নন, এমন অনেক দক্ষ ও যোগ্য নাগরিক নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী হবেন।
উল্লেখ্য, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন সম্পন্ন করার উদ্যোগ নিয়েছে। যদিও বিএনপি এর বিরোধিতা করে আসছে, তবে জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ কয়েকটি দল স্থানীয় নির্বাচনের পক্ষে মত দিয়েছে।
এসএকে/