সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫ ।। ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১০ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য-সমঝোতা কতদূর? গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী উত্তর-এর সমাবেশ  আদর্শিক বিরোধে গণ-অভ্যুত্থানে কারো অবদান অস্বীকার করা উচিত নয় : মাহফুজ আলম ইসলামি চার রাজনৈতিক দলের লিয়াঁজো কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত ‘স্বৈরতন্ত্র ও স্বৈরতান্ত্রিক বন্দোবস্তের স্থায়ী বিলোপের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’ মোবাইলে লাউডস্পিকারে কথা বলা; ইসলাম কি বলে: শায়খ আহমদুল্লাহ জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনতার বিস্ফোরণ: রাষ্ট্রপতি মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে ড. শোয়াইব আহমদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা সব ধরনের দূষণ রোধে আলেম-ওলামার সহযোগিতা চায় সরকার

আর যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

|| মো. সাহিদুল ইসলাম ||

আজ দুনিয়ার মানুষ ভুলে গেছে তাঁর পরিচয় । সকল ধর্মের মানুষ ভুলে গেছে তার দায়িত্ব ও কর্তব্য। ফলে জলে স্থলে চলছে অনাচর, অবিচার ও অশান্তির প্রবল স্রোত। মানুষে মানুষে চলছে হানাহানী, কাটা-কাটি, হিংসা বিদ্বেষ, কোটি কোটি মানুষ আজ খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার অভাবে ধুঁকে ধুঁকে মরছে। অথচ পারমানবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতায় ব্যয় হচ্ছে কোটি কোটি ডলার ।

যাদের মুখে শোনা যায় শান্তির বাণী তারাই আবার পরস্পরকে দেয় অস্ত্রের হুমকি। অসহায় মানুষ হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই আজ মসজিদ, মন্দির, গির্জায় স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করছে মুক্তির জন্য । বর্তমানে মুসলমানদের অবস্থা আরো খারাপ। ভাইয়ে ভাইয়ে চলছে যুদ্ধ । সমগ্র বিশ্বের দিকে তাকালে আজও দেখি চলছে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। অথচ কুরআন, বাইবেল, মহাভারত প্রভৃতি কোনটাতেইতো বলা হয়নি হানাহানি, কাটা-কাটি, হিংসা বিদ্বেষ এর কথা।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্ববাসী জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা করেছে। মানুষের মুক্তি ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য নানা প্রকার চুক্ত সম্পাদন করেছে। তবুও জাতিসংঘ আজ যুদ্ধ থামিয়ে রাখতে পারেনি এবং যুদ্ধকে ব্যাপক হতেও দেয়নি। মানুষ আজ শান্তি চায় মনেপ্রাণেই শান্তি চায়। তাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মনিষী, বৈজ্ঞানিক, রাজনীতিবিদ যুদ্ধের বিপক্ষে তাদের মতামত বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেছেন।

কারণ যুদ্ধ লোক ও সম্পদ ক্ষয় ছাড়া আর কিছুই নয়, তাই শান্তি মানুষের জন্য শুভ ও মঙ্গলজনক। আমাদেরকে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায়, দলমত নির্বিশেষে যুদ্ধের যেকোন পায়তারা সম্মিলিতভাবে রুখতে হবে ।

লেখক: কবি, সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী ও সংগঠক

কেএল/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ