সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫ ।। ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১০ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য-সমঝোতা কতদূর? গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী উত্তর-এর সমাবেশ  আদর্শিক বিরোধে গণ-অভ্যুত্থানে কারো অবদান অস্বীকার করা উচিত নয় : মাহফুজ আলম ইসলামি চার রাজনৈতিক দলের লিয়াঁজো কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত ‘স্বৈরতন্ত্র ও স্বৈরতান্ত্রিক বন্দোবস্তের স্থায়ী বিলোপের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’ মোবাইলে লাউডস্পিকারে কথা বলা; ইসলাম কি বলে: শায়খ আহমদুল্লাহ জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনতার বিস্ফোরণ: রাষ্ট্রপতি মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে ড. শোয়াইব আহমদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা সব ধরনের দূষণ রোধে আলেম-ওলামার সহযোগিতা চায় সরকার

নতুন বছরে তরুণ-তরুণীদের প্রতি যে আহ্বান করলেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি


দেশের জনপ্রিয় ধর্মীয় বক্তা, আসসুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ নতুন বছরে তরুণ-তরুণীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, প্রিয় ভাই, রাত বারোটায় যখন তুমি বাড়ির ছাদ থেকে আকাশে ‘টাকা’ ওড়াচ্ছিলে; বরং পোড়াচ্ছিলে, ঠিক তখন হয়ত তোমার বাড়ির নিচে পথের ধারে শুয়ে থাকা কোনো বনি আদম একটু কাপড়ের অভাবে শীতে কাঁপছিল!


নতুন বছরের আগমন যদি আনন্দের উপলক্ষ্য হয়, তবে বছরের বিদায় কি বিষাদের কারণ নয়? তুমি কি কখনো বছরের বিদায়ে কেঁদেছো?


নতুন বছরের আগমন যদি আনন্দের উপলক্ষ্য হয়, তবে বছরের বিদায় কি বিষাদের কারণ নয়? তুমি কি কখনো বছরের বিদায়ে কেঁদেছো?

সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে এক ভিডিও বার্তায় তরুণদের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, ‘‘‌তোমার ওড়ানো ফানুস দেখে ফুটপাতের অসহায় মাকে ক্ষুধাকাতর শিশু জিজ্ঞেস করেছে, আকাশে কীসের আগুন, মা? তুমি স্বাধীন মানুষ। আনন্দ-উল্লাস করতেই পারো। তাই বলে কোনো অর্জন বা যৌক্তিক উপলক্ষ্য ছাড়াই আকাশে ‘টাকা’ পোড়াবে?’’

 
‘নতুন বছরের আগমন যদি আনন্দের উপলক্ষ্য হয়, তবে বছরের বিদায় কি বিষাদের কারণ নয়? তুমি কি কখনো বছরের বিদায়ে কেঁদেছো? আমাকে উত্তর দিতে হবে না। একটু নিজের বিবেকের কাছে প্রশ্ন রাখো প্লিজ।’
 
‘জীবন একটাই। সেটাকে হেঁয়ালিপনায় নষ্ট না করে এসো সুন্দরের পথে, কল্যাণের পথে। রবের কাছে একদিন দাঁড়িয়ে হিসাব দিতে হবে জীবনের প্রতিটি ছোট-বড় কাজের। জীবন এতো মূল্যহীন বস্তু নয় যে, জীবনের মূল্যবান মুহূর্তগুলো তুচ্ছাতিতুচ্ছ বরং অনর্থক কাজে নষ্ট করবে!’
 
এর আগে ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি লেখেন, ঈসা আলাইহিস সালামের জন্মস্থান ফিলিস্তিন। পশ্চিমা দুনিয়াসহ বিশ্বজুড়ে যখন ঈসা আ. এর জন্মোৎসবের নামে উৎসবের জোয়ার বইছে, ঠিক তখন তার জন্মস্থান ফিলিস্তিনে শিশুদের ওপর চলছে ইতিহাসের বর্বরতম নারকীয় হামলা।

 
‘তাদের দিন কাটছে মহা-আতঙ্কে। প্রতিদিনই পিতামাতা হারিয়ে এতিম হচ্ছে সেখানকার শিশুরা। যে নবী শান্তির বার্তা নিয়ে পৃথিবীতে এসেছিলেন, তার পবিত্র জন্মভূমি এখন লাশের নগরী। ঈসা আ. এর পবিত্র শৈশব কাটল যে ভূমিতে, সেই ভূমির এই দুঃসময়ে লাগামহীন উৎসবে মেতে ওঠা তার উম্মতের দাবিদারদের জন্য কীভাবে শোভনীয় হতে পারে!
 
‘ঈসা আ. এর জন্মের প্রতি তখনই প্রকৃত সম্মান জানানো হবে, যখন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষ ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়াবে। ঈসা আ. কে ভালোবাসার দাবিদার যে কারোরই এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডে বেদনাহত হওয়ার কথা। অথচ বেদনাহত হওয়ার দৃশ্য খুব বেশি দেখা যাচ্ছে না।’

এনএ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ