সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫ ।। ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১০ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য-সমঝোতা কতদূর? গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী উত্তর-এর সমাবেশ  আদর্শিক বিরোধে গণ-অভ্যুত্থানে কারো অবদান অস্বীকার করা উচিত নয় : মাহফুজ আলম ইসলামি চার রাজনৈতিক দলের লিয়াঁজো কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত ‘স্বৈরতন্ত্র ও স্বৈরতান্ত্রিক বন্দোবস্তের স্থায়ী বিলোপের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’ মোবাইলে লাউডস্পিকারে কথা বলা; ইসলাম কি বলে: শায়খ আহমদুল্লাহ জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনতার বিস্ফোরণ: রাষ্ট্রপতি মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে ড. শোয়াইব আহমদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা সব ধরনের দূষণ রোধে আলেম-ওলামার সহযোগিতা চায় সরকার

অসীম ঋণে ধন্য আমার দেশ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

|| মুহাম্মদ যাইনুল আবিদীন ||

আমাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়- আপনার প্রিয় শহর কোনটি? বলব: মক্কা-মদিনা! যদি বলা হয়- প্রিয় দেশ? বলব: বাংলাদেশ! কেন? আমার কাছে এই কেন’র কোনো শেষ নেই। সেই অশেষ কেন’র অন্যতম একটি আমাদের তুরাগ তীরের বিশ্ব ইজতেমা। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সমাবেশ কোনটি? হজ! গুরুত্ব ও মর্যাদা কোনো বিচারেই এর পাশে আরেকটি নাম আসতে পারে না। হাজী স্বয়ং আল্লাহর মেহমান! তাই আমি বলি- কোনো আদর্শিক ডাকে অনুষ্ঠিত সেরা সমাবেশ কোনটি- প্রশ্নটি যদি এমন হয় তাহলে বলব: আমাদের তুরাগ তীরে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ইজতেমা। লক্ষ্য, সংখ্যা, পার্থিব শৃঙ্খলা ও উদ্দেশ্য সফলতার বিচারে বিশ্ব ইজতেমা বিশ্বের সেরা ইজতেমা; শ্রেষ্ঠ সমাবেশ! সেই সমাবেশের আয়োজক আমার দেশ, আমার মাতৃভূমির বুকের ওপর অনুষ্ঠিত হয় আল্লাহপ্রেমের এই অকৃত্রিম মাহফিল। লক্ষ্য মানুষের প্রেমকাতর চোখের পানিতে সিক্ত হয় আমার দেশ। আল্লাহ বিশ্বাসে আবেগাকুল লক্ষ উম্মতীর ভক্তিপূর্ণ সেজদা-পরশে ধন্য হয় আমার দেশের মাটি। অগণিত কণ্ঠে ‘আমিন’ ‘আমিন’ রবে আমোদিত হয় আমার দেশের বাতাস। রাজধানীর সচিবালয় থেকে সীমান্তে ঘুমিয়ে থাকা নীরব পল্লী অবধি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে এক পবিত্র অনুভূতি- ঢাকায় বিশ্ব ইজতেমা হচ্ছে।

আমি জানি না, এতটা ব্যাপকভাবে এবং অমন করে তার অন্য কোনো সংবাদ আমাদের নাড়া দেয় কি-না। তাছাড়া কেবল দেশতো নয়। কত ধনী দেশের ধনকুবেররা ছুটে আসছেন এখানে। এই বাংলাদেশে! যখন ভাবি, গর্বে আমার বুকটা ফুলে ওঠে। আপ¬ুত হই এক অপার ঋণের কথা ভেবে! আল্লাহপ্রেমে দায়বদ্ধ একজন মানুষ মাওলানা ইলিয়াস রহ. কত বিশাল ঋণে আমাদের ধন্য করে গেলেন। আল্লাহ তাঁর কবরকে বেহেশতের বাগিচা বানিয়ে দিন। আমীন।

ঋণে ‘ধন্য’ আর ‘আপুøত’ কথাটা ভেবে-চিন্তেই বলেছি। হয়তো কথাটা এভাবে বলতে আমরা অভ্যস্ত নই। কারণ- আমরা ঋণকে সাধারণত অনাকাক্সিক্ষত বোঝা বলেই জানি। কিন্তু বিদ্যালয়ের শিক্ষক আমাদের জ্ঞান দান করে যে ঋণী করেন সেটাকে কি বোঝা বলব? না। বরং এই ঋণ গর্বের। এই ঋণ প্রাচুর্যের। যে যত বেশি টানতে পেরেছে এই ঋণ সেই ততবেশি উজ্জ্বল। আমাদের সৌভাগ্য হলো- এই বাংলা মায়ের অসংখ্য দামাল ছেলে এই ঋণের ছোঁয়ায় উদ্ভাসিত।

একটা দেশের সবচেয়ে বড় ধন তার যুবসমাজ। যুবশক্তিকে রাষ্ট্রের মেরুদণ্ড বললে মোটেও বাড়িয়ে বলা হবে না। এ কারণেই শত্রু-মিত্র সকলেরই টার্গেট এই যুবসমাজ। রাষ্ট্র তার মেরুদণ্ড সোজা রাখার জন্যে জলের মতো অর্থ ঢালছে কত শিরোনামে তার ইয়ত্তা নেই। শত্রুপক্ষও নানা নামে নানা নেশার বড়ি খাইয়ে পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে আমাদের মেরুদণ্ড। ডিসসহ আধুনিক সব উদার আয়োজনের মূল ‘মতলব’ এখন গ্রামের বিবি সখিনারাও জানেন এবং বোঝেন। আজ অগ্রগতির প্রবল স্রোতে উল্লাসে ভেসে বেড়ানোর এই স্বর্ণজালে যখন প্রতিটি মা এবং প্রতিটি বাবাই সর্বদা শঙ্কিত- ছেলেটা যেন কেমন হয়ে যাচ্ছে। অথচ মুখে জিজ্ঞেস করবার সাহস নেই কারোই। বলি- সেই সময়ে মজে ভালোবেসে, পায়ে পায়ে বাবার কথা মাথা পেতে নিতে পারে এমন একটি যুবসমাজ গড়ে তুলবার মতো অভাবিত অর্জন কাদের?

লেখক: মুহাদ্দিস, লেখক ও অনুবাদক

কেএল/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ