সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫ ।। ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১০ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য-সমঝোতা কতদূর? গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী উত্তর-এর সমাবেশ  আদর্শিক বিরোধে গণ-অভ্যুত্থানে কারো অবদান অস্বীকার করা উচিত নয় : মাহফুজ আলম ইসলামি চার রাজনৈতিক দলের লিয়াঁজো কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত ‘স্বৈরতন্ত্র ও স্বৈরতান্ত্রিক বন্দোবস্তের স্থায়ী বিলোপের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’ মোবাইলে লাউডস্পিকারে কথা বলা; ইসলাম কি বলে: শায়খ আহমদুল্লাহ জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনতার বিস্ফোরণ: রাষ্ট্রপতি মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে ড. শোয়াইব আহমদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা সব ধরনের দূষণ রোধে আলেম-ওলামার সহযোগিতা চায় সরকার

দারুল উলুম দেওবন্দের ভূয়সী প্রশংসা ঢাবি শিবির সভাপতির


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

উপমহাদেশে ইসলামী শিক্ষার এক গৌরবময় নাম দারুল উলুম দেওবন্দ। এটি শুধু একটি মাদরাসা নয়, বরং এক ঐতিহাসিক চেতনার নাম, একটি আলোকবর্তিকা—যা যুগ যুগ ধরে দ্বীনি ইলম, আত্মশক্তি এবং স্বাধীনতার বাণী ছড়িয়ে আসছে। এই প্রেক্ষাপটে দারুল উলুম দেওবন্দের ভূমিকা স্মরণ করে ফেসবুকে নিজের আবেগঘন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ছাত্রনেতা, জুলাই যোদ্ধা সাদিক কায়েম। 

তিনি লেখেন, “দারুল উলুম দেওবন্দ—ইলমের আলোকবর্তিকা ও স্বাধীনতা সংগ্রামের পথ প্রদর্শক। এই মাদরাসাটি ১৮৬৬ সনের ৩০ মে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। মাত্র একজন শিক্ষক ও একজন ছাত্র নিয়ে যাত্রা শুরু হলেও আজ এটি বিশ্বব্যাপী ইসলামী শিক্ষার অন্যতম প্রধান কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে।” 

দারুল উলুম দেওবন্দ দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিম সমাজের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক পরিচয় রক্ষায়ও রেখেছে অবিস্মরণীয় ভূমিকা। মাওলানা কাসেম নানুতুবি (রহ.) ও মাওলানা রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী (রহ.)-এর মতো মনীষীদের নেতৃত্বে এই প্রতিষ্ঠান ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে এক সময় পরিণত হয় মুসলিম বুদ্ধিবৃত্তিক ও সশস্ত্র প্রতিরোধের ঘাঁটিতে। 

সাদিক কায়েম স্মরণ করিয়ে দেন, এই মাদরাসার প্রথম ছাত্র ছিলেন মাওলানা মাহমুদ হাসান দেওবন্দি (রহ.), যিনি পরবর্তীতে এর প্রধান শিক্ষক হন এবং ঐতিহাসিক ‘রেশমি রুমাল আন্দোলন’-এর মাধ্যমে ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। 

দেওবন্দের ‘দরসে নিজামী’ পাঠ্যক্রম আজও সমগ্র বিশ্বে ইসলামী শিক্ষার মানদণ্ড হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশের অসংখ্য মাদরাসা, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপ-আমেরিকার মুসলিম সমাজেও দেওবন্দি দর্শনের দাওয়াত ও প্রভাব দৃশ্যমান। উল্লেখযোগ্যভাবে, তাবলিগ জামাত আন্দোলনের জন্মও এই দেওবন্দেই। 

সাদিক কায়েম তাঁর পোস্টের শেষাংশে মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করে লেখেন, “মহান আল্লাহ এই দ্বীনি ইলমের মারকাযকে কবুল ও মঞ্জুর করে নিন এবং গোটা দুনিয়াতে ঈমান ও ইসলামের প্রচার, প্রসার ও প্রতিষ্ঠায় অব্যাহত ভূমিকা রাখার তাওফিক দান করুন। আমিন।” 

দারুল উলুম দেওবন্দের এই ঐতিহাসিক ও শিক্ষাগত অবদান নিঃসন্দেহে উপমহাদেশের মুসলিম উম্মাহর জন্য এক গর্বের বিষয় এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এক প্রেরণার উৎস।

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ