সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫ ।। ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১০ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য-সমঝোতা কতদূর? গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী উত্তর-এর সমাবেশ  আদর্শিক বিরোধে গণ-অভ্যুত্থানে কারো অবদান অস্বীকার করা উচিত নয় : মাহফুজ আলম ইসলামি চার রাজনৈতিক দলের লিয়াঁজো কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত ‘স্বৈরতন্ত্র ও স্বৈরতান্ত্রিক বন্দোবস্তের স্থায়ী বিলোপের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’ মোবাইলে লাউডস্পিকারে কথা বলা; ইসলাম কি বলে: শায়খ আহমদুল্লাহ জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনতার বিস্ফোরণ: রাষ্ট্রপতি মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে ড. শোয়াইব আহমদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা সব ধরনের দূষণ রোধে আলেম-ওলামার সহযোগিতা চায় সরকার

কওমি মাদরাসার সঙ্গে রাষ্ট্রীয় সম্পর্কের বিষয়টি বিবেচনাযোগ্য

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইফতেখার জামিল

বাদশা আলমগীরের পৃ ষ্ঠপোষকতা না পেলে কি কখনো ফতোয়ায়ে আলমগীরীর মতো বিখ্যাত সংকলন আলোর মুখ দেখতো? দেখতো না। শুধু ফতোয়ায়ে আলমগীরীই নয়, দক্ষিণ এশিয়ায় হানাফি ফিকাহের বিকাশ ঘটেছে প্রধানত রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতাকে কেন্দ্র করে।

গবেষণা করতে গিয়ে আমি দেখেছিলাম, ভারতবর্ষে মুসলিম যুগে রচিত ফিকাহ বিষয়ক প্রায় প্রতিটা সংকলন রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে সম্পাদিত হয়েছিল। ফতোয়ায়ে তাতারখানিয়ার নাম তাতারখানিয়া কেন, গেস করতে পারেন?

গাজালি নিজামুল মুলকের পৃষ্ঠপোষকতা না পেলে ‘ইমাম গাজালি’তে পরিণত হতে পারতেন না। পাশাপাশি, মনে রাখা ভালো, নিজামুল মুলক নিজামিয়া মাদরাসার মাধ্যমে মুসলিম স্কলারশিপকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যান—নিজামিয়ার পরবর্তী পুরুষরাই ক্রুসেড যুদ্ধে নেতৃত্ব দান করেন, ওসমানি খেলাফতের বুদ্ধিবৃত্তিক পাটাতন তৈরি করে দিয়ে যান। মুসলিম যুগের মন্ত্রী ছিলেন হাজার হাজার—তবু আমরা কেন এখনো ওযীর/মন্ত্রী বললে কেবল নিজামুল মুলকের কথাই ভাবি? 

ইয়েস—সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা গ্রহণ করার ঝুঁকি মোটেই কম নয়—রাজাবাদশারা পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি হস্তক্ষেপ করতেও ভালোবাসেন। মোগলদের পতনের প্রক্ষিতে ফারাঙ্গিমহল প্রায় বন্ধ হতে বসে, ব্রিটিশদের সাহায্য নিতে বাধ্য হয়। ঠিক এ কারণেই দেওবন্দ সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা গ্রহণ করতে অস্বীকার করে। তবে আমাদেরকে কেন মুসলিম যুগকেও অমুসলিম যুগের মত কল্পনা করে নিতে হবে?

দেখেন—কেউ ডিরেক্টলি সরকারি টাকায় কওমি মাদরাসা চালানোর কথা বলবে না—তবে, রাষ্ট্রীয় বরাদ্দ নিয়ে আপনারা একটা কল্যাণ ফান্ড বানাতে পারেন। অসুস্থ হয়ে পড়লে/শেষ বয়সে গরীব মাদরাসা শিক্ষকরা পেনশনের আবেদন করতে পারবেন। অথবা একটা হাসপাতাল বানাতে পারেন—একদল চিকিৎসক মাদরাসায় মাদরাসায় যাবেন, ছাত্রদের চেকআপ করবেন, সুস্বাস্থ নিশ্চিত করবেন।

কওমি মাদরাসার সাথে রাষ্ট্রীয় সম্পর্কের প্রশ্নকে নতুন করে বিবেচনা করা অত্যন্ত জরুরি।

লেখক: গবেষক, চিন্তক ও অ্যাকটিভিস্ট

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ