সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫ ।। ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১০ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য-সমঝোতা কতদূর? গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী উত্তর-এর সমাবেশ  আদর্শিক বিরোধে গণ-অভ্যুত্থানে কারো অবদান অস্বীকার করা উচিত নয় : মাহফুজ আলম ইসলামি চার রাজনৈতিক দলের লিয়াঁজো কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত ‘স্বৈরতন্ত্র ও স্বৈরতান্ত্রিক বন্দোবস্তের স্থায়ী বিলোপের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’ মোবাইলে লাউডস্পিকারে কথা বলা; ইসলাম কি বলে: শায়খ আহমদুল্লাহ জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনতার বিস্ফোরণ: রাষ্ট্রপতি মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে ড. শোয়াইব আহমদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা সব ধরনের দূষণ রোধে আলেম-ওলামার সহযোগিতা চায় সরকার

৬ সেক্টরে প্রাধান্য ছাড়া ইসলামপন্থা বিজয়ী হবে না

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবু নাঈম ফয়জুল্লাহ

অনেকের ধারণা, কোনো মতো ইসলামি দলগুলো ঐক্য করে একটা নির্বাচন করতে পারলেই ইসলামপন্থা এ দেশের ক্ষমতায় চলে যাবে এবং দেশে  খেলাফতে রাশেদার ছায়া নেমে আসবে।

আমি অত আশাবাদী না। তবে ঐক্য করতে পারলে ভালো কিছু হবে।

আমি মনে করি, আমাদের দীর্ঘ একটা জার্নির মধ্যে প্রবেশ করতে হবে। এবং আমাদের জীবনটা এভাবেই শেষ হবে। যদি আমরা একটা মাস্টার প্লান নিয়ে ভালো কিছু শুরু করতে পারি এবং লক্ষ্যে অবিচল থাকতে পারি, তাহলে আমাদের শ্রম, ঘাম ও রক্তের উপর ভর করে একটি সুন্দর সময় এ দেশে আসবে ইনশাআল্লাহ।

শুধু ক্ষমতা গ্রহণই ইসলামের চূড়ান্ত বিজয় না। বিশেষত এই আধুনিক পৃথিবীতে টেকসই বিজয় শুধু শক্তহাতে ক্ষমতা গ্রহণের মধ্য দিয় অর্জিত হয় না। বরং টেকসই ও সামগ্রিক বিজয়ের জন্য মোটামুটি ছয় ধরনের বিজয় প্রয়োজন।

১. জ্ঞানগত বিজয়।

২. সামাজিক বিজয়

৩. সাংস্কৃতিক বিজয়

৪. মিডিয়ায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা

৫. অর্থনৈতিক বিজয়

৬. রাজনৈতিক ও সামরিক বিজয়।

এই ছয়টি সেক্টরে নিজেদের প্রাধান্য বিস্তারের জন্য স্বতন্ত্র পরিকল্পনা হাতে নিয়ে ইসলামের জন্য নিবেদিত প্রাণ তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে। প্রথমত প্রতিটি সেক্টরের জন্য বুদ্ধিবৃত্তিক ও চিন্তামূলক কাজের মাধ্যমে একটা রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে। সেই রোডম্যাপের ওপর ব্যাপক আলাপ আলোচনার মাধ্যমে ওই সেক্টরে কাজে আগ্রহী তরুণদেরকে উদ্যোগী করে তুলতে হবে। তরুণরা সেই মাস্টার প্লানকে মাথায় রেখে নিজ নিজ জায়গা থেকে জীবনব্যাপী পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করে যাবেন। নিজের কর্তব্যটা খুঁজে বের করে নিজেকে কাজে নিয়োজিত করবেন। প্রতিটি সেক্টরের কোনো উপশাখাকে নিজের সৃজনশীল, কর্মঠ ও ধারাবাহিক কাজের মাধ্যমে সচল করে তুলবেন। কেউ কেউ ইনস্টিটিটিউট গড়ে তুলবেন। কেউ কেউ তৃণমূল পর্যায়ে সময় নিয়ে কাজ শুরু করবেন।

ফানুস দেখে মানুষ ভাবা নয়, বাস্তব অর্জনের ওপর তাদের ফোকাস থাকবে। পূর্বপুরুষের কর্মপন্থাকে কপি করা নয়, বরং বর্তমানের চাহিদা ও বাস্তবতার ওপর আলো ফেলে তারা পথ নির্মাণ করবেন।

এভাবে কয়েক প্রজন্ম একটা সুস্পষ্ট লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে গেলে প্রতিটি সেক্টরেই টেকসই একটা সংস্কৃতি দাঁড়িয়ে যাবে। ইসলামের চিরন্তন নীতিমালার আলোকে মানুষ, সমাজ ও রাষ্ট্রের সমস্যাগুলোর সমাধানে কাজ করার একটা সমৃদ্ধ সংস্কৃতি এ দেশে গড়ে উঠবে। আর তার ওপরই নির্মাণ হবে আগামীর বাংলাদেশ। ইসলামের বিশ্বজনীন মুক্তির আলোয় আলোকিত হবে উপমহাদেশ।

লেখক: শিক্ষক, জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া, সাত মসজিদ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ