সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫ ।। ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১০ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য-সমঝোতা কতদূর? গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী উত্তর-এর সমাবেশ  আদর্শিক বিরোধে গণ-অভ্যুত্থানে কারো অবদান অস্বীকার করা উচিত নয় : মাহফুজ আলম ইসলামি চার রাজনৈতিক দলের লিয়াঁজো কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত ‘স্বৈরতন্ত্র ও স্বৈরতান্ত্রিক বন্দোবস্তের স্থায়ী বিলোপের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’ মোবাইলে লাউডস্পিকারে কথা বলা; ইসলাম কি বলে: শায়খ আহমদুল্লাহ জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনতার বিস্ফোরণ: রাষ্ট্রপতি মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে ড. শোয়াইব আহমদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা সব ধরনের দূষণ রোধে আলেম-ওলামার সহযোগিতা চায় সরকার

তেল আবিব ও হাইফাকে বধ্যভূমি বানানোয় তেহরানের সাফল্য কামনা করি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

।।মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ।।

যার ক্ষত তার ব্যথা। তেহরান নিশ্চয়ই জানে তারা কী করছে, কেন করছে। তবে হিংস্রাবিলের (ইসরায়েল) বুকের মধ্যেও বেশ দূর থেকে আঘাত করার যেটুকু সামর্থ্য তারা দেখিয়েছে এটা অনেক। হিংস্রাবিলের এইটুকু ক্ষতি ও আতঙ্কের জন্যও তাদের ধন্যবাদ পাওনা।

তবু গত ৪০ বছরের যুদ্ধ-রাজনীতি দেখে মনে হয়েছে, বড় সন্ত্রাসী সরাসরি সক্রিয় হয়ে উঠলে তেহরানের হাতে সময় থাকবে না। নিজে তো ভেঙে পড়বেই, হিংস্রাবিলের দরকারি ক্ষতিগুলোও করতে পারবে না। হয়তো তার হাতে অপশন নেই, কিন্তু নিজেকেও রক্ষা করা আর হিংস্রাবিলকে কম আঘাত করা-এ দুটি কুল রক্ষা করা সম্ভব না; একটা বেছে নিতে হবে। পুরোপুরি আত্মসমর্পণ অথবা হিংস্রাবিলের যত ক্ষতি করা যায়।

দ্বিতীয় অপশনটা অনেক সম্ভাবনাময়। সুযোগ সামর্থ্য থাকলে দ্বিতীয়টা যত দ্রুত সম্ভব যত বেশি সম্ভব করা উচিত। ওইটা করতে পারলে নিজেকে রক্ষা করার মতো অনেক আনুকূল্য চলে আসবে। বড় সন্ত্রাসীও আলাপে বসতে চাবে আর চীন-রাশিয়ার মতো ছায়া বন্ধুরাও তেহরানের পক্ষে আরো সক্রিয় হবে। বাঁচতে হলে আঘাত করেই বাঁচতে হবে। কম আঘাত করে কিংবা রয়ে সয়ে আলাপ সালাপ করে বাঁচার সুযোগ নাই। হাতেও সময় কম। শয়তানরা সময় দেবে না।

ভালো একটা দিক হলো, হিংস্রাবিলের সাথে তেহরানের হচ্ছে এবং হিংস্রাবিল তার ধারণার বাইরে আঘাত পাচ্ছে। সামর্থ্য ও বৈশ্বিক আনুকূল্যে সমানে সমান না হলেও মানসিক দমের দিক থেকে দুপক্ষই শেয়ানে শেয়ান। মধ্যপ্রাচ্যের অন্য কোনো দেশের সঙ্গে লেগে গেলে এমনটা হতো না। তাই এ সংঘাত থামুক কিংবা আরো কিছুদিন চলুক, যদি হিংস্রাবিলের ক্ষতি হতে থাকে, তাহলে সেটাই হবে বড় পাওয়া। তেহরানসহ বিভিন্ন দেশের নানামাত্রিক ক্ষতিতো হবেই, সে দুঃখ আশঙ্কা তো আছেই; তারপরও হিংস্রাবিলের ক্ষতিটা অনেক বড় ব্যাপার। ওরা দুনিয়ায় অপ্রতিরোধ্য ও রহস্যময় হয়ে উঠছিল। ফিলিস্তিনি ও গাজাবাসীদের রক্ত ও জীবনের ওপর দিয়ে হিংস্রাবিলের নাগরিকেরা মাখনের মতো দুধেল একটা নিরাপদ মৌজ ফুর্তির জীবন কাটাচ্ছিল। এটায় এখন টান ধরেছে।

তেহরান-ঠেলাবিব কথা না, আসল কথা হলো, হিংস্রাবিলের প্রতিটি প্রাণীর চোখেমুখে অনিশ্চয়তা ও আতঙ্কের চিহ্ন তৈরি হওয়াটা সুস্থ পৃথিবীর জন্য অত্যন্ত দরকারি জিনিস। যুদ্ধ আরো তিন দিন চলুক কিংবা ৩০ দিন, হিংস্রাবিলের ক্ষত ও বিপর্যয়টাই কাম্য। তেল আবিব আর হাইফাকে বধ্যভূমি বানানোর জন্য তেহরানের সাফল্য কামনা করি।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ