সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫ ।। ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১০ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য-সমঝোতা কতদূর? গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী উত্তর-এর সমাবেশ  আদর্শিক বিরোধে গণ-অভ্যুত্থানে কারো অবদান অস্বীকার করা উচিত নয় : মাহফুজ আলম ইসলামি চার রাজনৈতিক দলের লিয়াঁজো কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত ‘স্বৈরতন্ত্র ও স্বৈরতান্ত্রিক বন্দোবস্তের স্থায়ী বিলোপের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’ মোবাইলে লাউডস্পিকারে কথা বলা; ইসলাম কি বলে: শায়খ আহমদুল্লাহ জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনতার বিস্ফোরণ: রাষ্ট্রপতি মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে ড. শোয়াইব আহমদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা সব ধরনের দূষণ রোধে আলেম-ওলামার সহযোগিতা চায় সরকার

সবাইকে রাজা বানিয়ে দিলে রাজ্যের অবস্থা হবে কাহিল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

|| মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ ||

নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে বিতর্ক, পক্ষ-বিপক্ষ আলোচনা জমে তো উঠেছে, কিন্তু আমি একটি জিনিস (নিজের চিন্তায়) এখনো ঠিক করতে পারছি না, এদেশে নেতৃত্ব ও সিদ্ধান্ত নির্মাণের জায়গাটা কতটুকু বিকেন্দ্রীকরণ করা উচিত? এখানে ঘুষ-দুর্নীতি, আস্থার ঘাটতি, বিচার ও আইন-শৃঙ্খলার জটিলতা, ভোট বেচাকেনা, এমনকি এমপি বেচাকেনার পরিস্থিতিও আছে। একক নেতৃত্ব, একনায়কত্ব, কেন্দ্রীভূত নেতৃত্ব স্বৈরাচারের রাস্তা খুলে দেয়, এটা ঠিক আছে। এজন্য কিছুটা ভারসাম্যের চেষ্টা করা যায়।

সংস্কারের নামে সবকিছু ফ্লাট করে দেওয়া এবং অল্প টাকায় মাথা বেচে দেওয়া বিভিন্ন লোক-শ্রেণিকে নীতি-নির্ধারক, সিদ্ধান্ত-নির্মাতা বানিয়ে দেওয়া কতটা ঠিক হচ্ছে, এই দেশে, এই দেশের অনৈতিকতার বাস্তবতায়, আমার গভীর সংশয় আছে। অনেক কিছু নিয়েই ভয় হচ্ছে। 

বিএনপির ক্ষেত্রে খালেদা জিয়ায় যতটুকু আস্থা আপনি রাখতে পারবেন, এটা কি তার পরের স্থায়ী কমিটির নেতা কিংবা আরো পরের এমপি মন্ত্রীদের ক্ষেত্রে আপনার থাকবে? থাকার কথা? দেশের চলমান অর্থনৈতিক, পারিপার্শ্বিক, ভূরাজনৈতিক বাস্তবতায় কী মনে হয়? নাকি নানা রকম সংস্কার করে কেন্দ্র তো ভাঙবেন, কিন্তু দেশের ও সার্বভৌমত্বের জন্য অনেক বিশৃঙ্খলার পথও তৈরি করছেন কি না এটা চিন্তা করা মনে হয় দরকার। 

একই কথা অন্যান্য অনেক দলের ক্ষেত্রেও খাটে। এদেশে নেতৃত্ব পর্যায়ে আর্থিক কেনাবেচা, অনৈতিকতা, পর-দেশের কাছে নতজানুতা এবং ভিনদেশী গোয়েন্দাদের ট্রেপ ও ফাঁদের কত ব্যাপার স্যাপার থাকে। দেখেন, বুঝেশুনে অগ্রসর হোন।

সংস্কার ও ঐক্যমত্য নিয়ে ভেতরে-বাইরে যারা কাজ করছেন এবং নানা রকম পরিকল্পনা করছেন, তারা এদেশের বাজার ভাও, দালাল খরিদ্দার কালচার বুঝেশুনে সংস্কার ও ভারসাম্যের ছক সাজানোর চেষ্টা করলে মনে হয় ভালো করবেন। সুন্দর দেখলেই সব সুন্দর হয় না, সব সুন্দর একসঙ্গে নিতে হয় না। সব মিষ্টি আর স্বাদ সব পেটে হজম হয় না। এত বড় বিপ্লবের পর বিচারটা ঠিকঠাক মতো হচ্ছে না যে দেশে, ভুক্তভোগী ও বিপ্লবীদেরই অনেকে লোভে চাপে দরকারে যেখানে চোরা ও ফ্যাসিবাদীদের পক্ষে গলা মিলাচ্ছে, সেখানে সবাইকে রাজা বানিয়ে দিলে রাজ্যের অবস্থা কাহিল হয়ে যাওয়ার কথা। তবে কিছু সংস্কার, কিছু শুদ্ধি, কিছু ভারসাম্য তো হওয়াই উচিত। তারপর, দেখেন আপনারা যা ভালো মনে করেন।

লেখক: জ্যেষ্ঠ আলেম সাংবাদিক, বিশ্লেষক

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ