সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫ ।। ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১০ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য-সমঝোতা কতদূর? গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী উত্তর-এর সমাবেশ  আদর্শিক বিরোধে গণ-অভ্যুত্থানে কারো অবদান অস্বীকার করা উচিত নয় : মাহফুজ আলম ইসলামি চার রাজনৈতিক দলের লিয়াঁজো কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত ‘স্বৈরতন্ত্র ও স্বৈরতান্ত্রিক বন্দোবস্তের স্থায়ী বিলোপের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’ মোবাইলে লাউডস্পিকারে কথা বলা; ইসলাম কি বলে: শায়খ আহমদুল্লাহ জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনতার বিস্ফোরণ: রাষ্ট্রপতি মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে ড. শোয়াইব আহমদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা সব ধরনের দূষণ রোধে আলেম-ওলামার সহযোগিতা চায় সরকার

সফল রাজনীতির জন্য চাই জনমুখর কর্মপদ্ধতি


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

|| আফফান লাবীব ||

২৪- এর গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে ইসলামি রাজনৈতিক দলগুলোর জন্যে এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। পতিত স্বৈরশাসনের আমলে রাজনীতির অঙ্গণে আলেম সমাজকে একপ্রকার কোণঠাসা করে রাখা হয়েছিল। ফলে রাজনৈতিক দলগুলোর জন্যে পিঠ সোজা করে দাঁড়ানো কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

কিন্তু-আল্লাহর মেহেরবানিতে-এখন পথটা অনেকটাই উন্মুক্ত হয়েছে; তাই এখন আমাদের উচিত—দেশের স্বার্থে, দ্বীনের স্বার্থে এবং উম্মতের স্বার্থে এই সুযোগটা শতভাগ কাজে লাগানো। দেশের রাজনীতিতে সাধ্যমতো নিজেদের এক্টিভিটি বাড়িয়ে তোলার এটাই মোক্ষম সময়।

রাজনীতিতে সফলতার রোডম্যাপ কী হতে পারে—এক্ষেত্রে আমরা নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক হয়ে উঠার নেপথ্য গল্পটা ফলো করতে পারি। কিংবা আমাদের নিকট অতীতের উলামায়ে কেরামের মাঝে যারা রাজনৈতিক অঙ্গণে সফল এবং সরব ছিলেন; তাদেরকেও অনুসরণ করতে পারি।

বিশেষত ভারত উপমহাদেশের বিখ্যাত ‘মাদানী’ পরিবারের রাজনৈতিক অধ্যায়টা পাঠ করতে পারি। কিংবা পাকিস্তানের বিখ্যাত রাজনৈতিক আলেম মুফতি মাহমুদ রহ. এবং তাঁর সুযোগ্য উত্তরসূরী মাওলানা ফজলুর রহমানের রাজনৈতিক অধ্যায়গুলোও সামনে রাখতে পারি।

রাসুলের সিয়াসি যিন্দেগি হোক কিংবা আকাবির ওলামার রাজনৈতিক জীবন; সবখানে তাঁদের সফলতার অন্যতম মূলমন্ত্র ছিল— জনমানুষ তথা জনগণের সঙ্গে একাত্ম হয়ে কাজ করা। তাঁদের রাজনীতিটা ছিল জনগণের রাজনীতি। তাই সর্বসাধারণ তাদের প্রাত্যহিক জীবনে যেসকল সংকটের মুখোমুখি হয়; তাঁরা সেসকল বিষয়ে ছিলেন সর্বোচ্চ সোচ্চার। যখনই কোনো শ্রমিক শ্রেণী তার ন্যায্য অধিকার আদায়ে বৈষম্যের শিকার উলামায়ে কেরাম তাদের পক্ষে প্রতিবাদে এগিয়ে আসতেন। এবং সাধ্যমতো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতেন।

একেবারে তৃণমূল থেকে শুরু করে সমাজের সর্বশ্রেণীর জনসাধারণের সঙ্গে একাত্ম হয়ে কর্মপদ্ধতি গ্রহণ করতেন তাঁরা। এর ফলে ধীরে ধীরে সমাজ তাঁদের নেতৃত্বের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠে। তাঁদের হাতে নিজেদের লাগাম তুলে দেওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত হয় তারা। ফলে প্রাথমিক পর্যায়ে সমাজের আংশিক নেতৃত্ব উলামায়ে কেরামের হাতে উঠে আসে।

ফলে পরবর্তীতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যাওয়ার পথটিও সুগম হয়। শুধুমাত্র রাজনৈতিক ক্ষেত্রেই নয়, বরং অরাজনৈতিক মণ্ডলেও এরূপ কর্মপদ্ধতি আলেম সমাজের জন্যে বহুমুখি উপকারিতা বয়ে আনবে বলে মনে করি। বিশেষত জনসাধারণের সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক  গড়ে উঠবে, যার উপর ভর করে সমাজে দ্বীন প্রচার আরো ব্যাপকতা লাভ করবে। খেদমতে খালকের সুন্নত জারি হবে।সর্বোপরি দেশের মানুষজন দ্বীনমুখি হতে শুরু করবে। যেটা আমাদের একমাত্র সফলতা আল্লাহ সবাইকে বুঝার তাওফিক দিন। আমীন।

লেখক:  শিক্ষার্থী, জামিয়া কাসেম নানুতবী ঢাকা।

এমএম/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ