জমিয়ত উলামায়ে হিন্দের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবস্থিত মাদানী হলে শুক্রবার (৪ জুলাই) দিল্লির বিভিন্ন এলাকার দায়িত্বশীলদের একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে মক্তবের স্থায়িত্ব, প্রতিষ্ঠা ও সম্প্রসারণের কার্যকরী কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় ওলামা, শিক্ষক, সংগঠন সহযোগিতাকারী ও অন্যান্য দায়িত্বশীলরা অংশগ্রহণ করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন দিল্লি প্রাদেশিক দীনি তালিমি বোর্ডের সভাপতি মাওলানা দাউদ আমিনী। পরিচালনা করেন মাওলানা আব্দুস সামি ও মাওলানা শুয়েব।
সভায় জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের (একাংশ) সভাপতি মাওলানা মাহমুদ আসাদ মাদানী বলেন, ইসলাম রক্ষায় মক্তব একটি শক্তিশালী ফ্রন্ট। এখানেই সন্তানের হৃদয়ে সততার শিখা জ্বলে। নামাজ রোজা যেমন ফরজ, তেমনি প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দীনি প্রশিক্ষণও জরুরি।
মাহমুদ মাদানী বলেন, মাদরাসা আলেম বানায়, কিন্তু মক্তব প্রত্যেক মুসলমানকে মুসলিম বানায়।
তিনি বলেন, পরিসংখ্যান আমাদের মর্মাহত করার জন্য যথেষ্ট যে, সারা ভারতে আট মিলিয়ন মুসলিম শিশুর বয়স ১৪ বছরের নিচে। এর মধ্যে মাত্র এক মিলিয়ন শিশু কোনো ধর্মের সঙ্গে যুক্ত। এর মানে হলো প্রায় ৬ মিলিয়ন শিশু বর্তমানে ধর্ম থেকে বঞ্চিত— এটা একটি সমষ্টিগত ব্যর্থতা।
মাওলানা মাদানী বলেন, আজকালকার শিশুরা ভয়ংকর মাদক, মোবাইল ও পর্নোগ্রাফিতে ভুগছে, যার ফলে তাদের সততা ও চরিত্রকে বিপদে ফেলে। সময় মতো শক্তিশালী দীনি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা না করলে ভবিষ্যৎ আরও ভয়াবহ হবে।
প্রত্যেক মসজিদের ইমাম শুধু নামাজের ইমাম নয়, বরং বাচ্চাদের পথ প্রদর্শক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। মক্তব আন্দোলনে সকল পাড়া-মহল্লা, যুব, সমাজকর্মী ও সংগঠন অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান মাওলানা মাদানী।
সভায় জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হাকিমুদ্দিন কাসেমী বলেন, দীন আমাদের শুধু শিক্ষাদানেই নয়, বরং শিশুদের চরিত্র, বিশ্বাস ও আধ্যাত্মিকতার লালন-পালনেই মনোযোগ দিতে হবে।
সংগঠনের সহকারী সাধারণ সম্পাদক মুফতি মোহাম্মদ আফফান মনসুরপুরী বলেন, নতুন প্রজন্ম পুরো উম্মত এবং শিক্ষকেরা এই প্রজন্মের গতিপথ পরিবর্তনের ক্ষমতা রাখে।
এনএইচ/