সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫ ।। ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১০ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য-সমঝোতা কতদূর? গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী উত্তর-এর সমাবেশ  আদর্শিক বিরোধে গণ-অভ্যুত্থানে কারো অবদান অস্বীকার করা উচিত নয় : মাহফুজ আলম ইসলামি চার রাজনৈতিক দলের লিয়াঁজো কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত ‘স্বৈরতন্ত্র ও স্বৈরতান্ত্রিক বন্দোবস্তের স্থায়ী বিলোপের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’ মোবাইলে লাউডস্পিকারে কথা বলা; ইসলাম কি বলে: শায়খ আহমদুল্লাহ জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনতার বিস্ফোরণ: রাষ্ট্রপতি মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে ড. শোয়াইব আহমদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা সব ধরনের দূষণ রোধে আলেম-ওলামার সহযোগিতা চায় সরকার

নব্য হায়েনাদের তাণ্ডবে রক্তাক্ত বাংলাদেশ!


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

|| খালিদ হাসান বিন শহীদ ||
পুরান ঢাকায় পাথর দিয়ে মানুষ হত্যার নৃশংসতা জাহেলি যুগকেও হার মানিয়েছে। আমরা জাহিলিয়াত পড়েছি কিন্তু আজ তা দেখলাম। নারকীয় এ হত্যাকাণ্ডে স্তব্ধ পুরো দেশ ও জাতি।

পত্রিকার খবর অনুযায়ী, ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে মিটফোর্ড হাসপাতাল চত্বরে পিটিয়ে ও ইট-পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। তারপর মরদেহের ওপর চলে এই বর্বরতা।

সিসিটিভিতে ধরা পড়া ছবিতে দেখা যায়, ব্যস্ত সড়কে অনেক মানুষের সামনে এ ঘটনা ঘটছে। লোকজন নিরবে দাঁড়িয়ে দেখছে। ঘটনার ভয়াবহতায় তারাও হতবিহ্বল। কেউ এগিয়ে আসেনি। হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যের ক্যাম্প ছিল পাশেই। তারাও কেউ এগিয়ে আসেনি।

বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিটফোর্ড হাসপাতালের তিন নম্বর গেটসংলগ্ন রজনী ঘোষ লেনে এ ঘটনা ঘটে। লোমহর্ষক এ ঘটনার একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নেটিজেনরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।

কতটা হিংস্র, বিকৃত আর পশুসুলভ হলে একজন মানুষকে পিটিয়ে, মাথায় ইট দিয়ে থেঁতলে হত্যা করা যায়! কতটা নীচ আর পৈশাচিক হলে রক্তাক্ত লাশকে বিবস্ত্র করে তার উপর নাচা যায়! কীভাবে কেউ এমন দানবীয় খুনের মাধ্যমে একটি প্রাণকে মধ্যযুগীয় কায়দায় পিষে ফেলতে পারে?

এটা শুধু হত্যাকাণ্ড নয়—এটা সভ্যতা, মানবতা, নৈতিকতা, মনুষ্যত্বকে পায়ের নিচে দলিত করার জঘন্যতম দৃষ্টান্ত। আইয়ামে জাহেলিয়ার বর্বরতাও হয়তো আজ এই বর্বরতার সামনে লজ্জায় মাথা নিচু করবে।

বিএনপিও বিগত ১৬ বছর মজলুম ছিল। কিন্তু মাত্র ১ বছরেই এভাবে বিএনপি নিজেই আজ জালেমে পরিণত হবে-ভাবতেই অবাক লাগে। এখন নিজেদের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ-কেউই নিরাপদ নয়! অপরাধীকে গ্রেফতার করলেই থানা আক্রমণ, বহিষ্কার করলেও মাস না যেতেই আবার দলে ফেরত! এভাবে চললে দলীয় শৃঙ্খলা কোথায় থাকবে? নির্বাচনের আগে বিএনপির উচিত ছিল নিজেদের ভেতরের সংস্কার এবং দলীয় সকল ক্যাডার-চাঁদাবাজদের টুটি চেপে ধরা। দেশের কল্যাণে ভূমিকা রাখতে হলে অবশ্যই বিএনপিকে এ ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। 

দিনে দুপুরে উলঙ্গ করে মুখ ও বুকের উপর বিশাল পাথর মেরে যার এই পৈশবচিক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তাদের কঠিন শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। জুলুমের এই নৃশংস রাজনীতি বন্ধ হোক।

লেখক: ধর্মীয় আলোচক, কলামিস্ট ও বিশেষ প্রতিনিধি- আওয়ার ইসলাম২৪.কম

এমএম/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ