সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫ ।। ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১০ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য-সমঝোতা কতদূর? গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী উত্তর-এর সমাবেশ  আদর্শিক বিরোধে গণ-অভ্যুত্থানে কারো অবদান অস্বীকার করা উচিত নয় : মাহফুজ আলম ইসলামি চার রাজনৈতিক দলের লিয়াঁজো কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত ‘স্বৈরতন্ত্র ও স্বৈরতান্ত্রিক বন্দোবস্তের স্থায়ী বিলোপের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’ মোবাইলে লাউডস্পিকারে কথা বলা; ইসলাম কি বলে: শায়খ আহমদুল্লাহ জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনতার বিস্ফোরণ: রাষ্ট্রপতি মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে ড. শোয়াইব আহমদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা সব ধরনের দূষণ রোধে আলেম-ওলামার সহযোগিতা চায় সরকার

পলাতক শক্তির উস্কানি ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ঢেলে সাজাতে হবে


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

|| মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ ||

বর্তমান দেশের প্রেক্ষাপটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা শুধু বাহিনীর দায়িত্ব নয়, বরং এটা গোটা রাষ্ট্রযন্ত্রের একটি সমন্বিত দায়িত্ব। বিশেষ করে যখন রাষ্ট্রবিরোধী কোনো পলাতক শক্তি উস্কানি দেওয়ার মতো সাহস দেখায়, তখন সেই সম্ভাব্য অস্থিতিশীলতা কঠোরভাবে রুখে দেওয়া আবশ্যক। কারণ এক জেলার ঘটনা, যদি যথাযথভাবে মোকাবিলা না করা হয়, তা হলে তা পরিণত হতে পারে বহুজেলা ও বহুমাত্রিক চাঙ্গাভাবের অনুঘটকে।

আমাদের মনে রাখতে হবে—প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা, ঘটনার পরের পদক্ষেপের চেয়ে সবসময় কার্যকর। একটি উত্তপ্ত দিনের আগেই যদি সংশ্লিষ্ট নিষিদ্ধ সংগঠনের ৪০-৫০ জন সক্রিয় ও উস্কানিমূলক ভূমিকা রাখা ব্যক্তিকে গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে আটক করা যায়, তাহলে রাস্তায় নামার মতো ভীড় গঠনের আগেই তা ভেঙে যায়। রাস্তায় একবার শত শত মানুষ নেমে গেলে তখন কেবল লাঠি, গ্যাস বা জলকামান দিয়েই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে।

এছাড়াও মিডিয়ার ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় দেখা যায়, একটি সীমিত সংঘাতকে ভুল ব্যাখ্যা বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে উপস্থাপন করে পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করা হয়। ফলে মাঠে নামা বাহিনীগুলোর কৌশল ও সাহস—উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই রকম পরিস্থিতি যেন ‘বুমেরাং’ না হয়ে দাঁড়ায়, সেজন্য সরকার ও নীতিনির্ধারকদের আগেভাগে সচেতন হতে হবে।

সবচেয়ে জরুরি হলো—আজকের যেকোনো সহিংস ঘটনার শক্ত ও সুপরিকল্পিত ফলোআপ। এটি দুষ্টু ও উগ্র চিন্তার লোকদের জন্য একটি বার্তা হবে: রাষ্ট্র এখনো সজাগ। একই সঙ্গে ফ্যাসিবাদ-উত্তর রাজনৈতিক বাস্তবতায় যেসব ইতিবাচক শক্তি আছে, তাদের ভেতরে কমপক্ষে একটি ন্যূনতম বোঝাপড়া গড়ে উঠতে হবে। তা না হলে এই জাতীয় সুযোগে দমন-পীড়নের নতুন যুক্তি তৈরি হতে পারে।

রাষ্ট্রের এই রূপান্তর-সংকটময় সময়ে, আইনি, রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিরোধ—তিনটি স্তরেই সংহত উদ্যোগ প্রয়োজন।

লেখক: , আলেম লেখক, সাংবাদিক ও গবেষক

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ