ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ বলেছেন, গতকাল মাইলস্টোন স্কুলে যা ঘটেছে তা গোটা জাতীকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। শোক প্রকাশ করার ভাষাও আমরা হারিয়ে ফেলেছি। কষ্ঠ, বেদনা আর আক্ষেপে হৃদয় হাহাকার করছে। আহতরা দ্রুত সুস্থ্য হয়ে উঠুক, নিহতরা শাহাদাতের মর্যাদায় সম্মানিত হোক, শোকাহত পরিবারকে আল্লাহ ধৈর্য্য ধারণ করার তৌফিক দিন এই প্রত্যাশায় আমরা ব্যকুল হয়ে আছি।
আজ মঙ্গলবার (২২ জুলাই) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নিয়মিত বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্মমহাসচিব ও দলীয় মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, দুর্ঘটনার ভয়াবহতায় আমরা হতবিহব্বল। তারপরেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস এবং আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা যে দ্রুততা ও দক্ষতার সাথে দুর্যোগ ব্যবস্থপনা করেছে তা প্রশংসনীয়।
তবুও ঢাকার মতো একটা জনবহুল এলাকায় প্রশিক্ষণ বিমান উড্ডয়ন, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানের মান ইত্যাদি নিয়ে প্রশ্ন করার যৌক্তিক কারণ আছে। ২২ জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক প্রকাশের জন্য ঘোষণা করার সাথে সাথেই ২২ জুলাইয়ের পরীক্ষা বিষয়ে একটা সিদ্ধান্ত আসা দরকার ছিলো। রাত তিনটার সময়ে পরের দিনের পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা সরকারের সিদ্ধান্তহীনতা প্রকাশ করে। এসব নিয়ে বিরক্তি ও ক্ষোভ থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু সেই বিরক্তি ও ক্ষোভকে কেন্দ্র করে পতিত ফ্যাসিবাদ যাতে কোন ধরণের সুযোগ নিতে না পারে সেই বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুখপাত্র বলেন, আজকে যেভাবে গেট ভেঙ্গে সচিবালয়ে প্রবেশ করা হয়েছে তাতে আমরা শংকা বোধ করছি যে, পতিত ফ্যাসিবাদ হয়তো সুযোগ নিতে চাইছে। ফ্যাসিবাদের পালাতক নেতাদের অনলাইন কার্যক্রমও তেমনি ইঙ্গিত দেয়। সেক্ষেত্রে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পরিস্কার ঘোষণা করছে যে, আমাদের কষ্ট ও বেদনার সমাধান আমরাই করবো কিন্তু পতিত ফ্যাসিবাদ কোন সুযোগ নিতে চাইলে ঐক্যবদ্ধভাবে তা প্রতিহত করা হবে। কোন অবস্থাতেই পতিত ফ্যাসিবাদকে সুযোগ নিতে দেয়া যাবে না।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমাদ রাজপথে আন্দোলনরতদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, আজকের যে বেদনা ও কষ্ট তা বিগত ৫৪ বছরের ধারাবাহিক অরাজকতার প্রতিফল। আমরা সেই অরাজকতা দুর করতে জুলাইতে ফ্যাসিবাদকে উৎখাত করেছি। এখন দেশগড়ার সময়। পতিত ফ্যাসিবাদ আবারো ছোবল দেয়ার জন্য মুখিয়ে আছে। কোন অবস্থাতেই যেনো তারা কোন সুযোগ নিতে না পারে সেই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
সাপ্তাহিক বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, অধ্যক্ষ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমাদ আবদুল কাইয়ুম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ইফতেখার তারিক, মহিলা ও পরিবার কল্যাণ সম্পাদক মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর ড. বেলাল নূর আজিজী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আতিকুর রহমান মুজাহিদ, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী মোস্তফা কামাল, সহ-প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক কেএম শরীয়াতুল্লাহ, সহ-দফতর সম্পাদক অ্যাডভোকেট বরকত উল্লাহ লতিফ, সহ প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতী মানসুর আহমাদ সাকী, কেন্দ্রীয় সদস্য ডা. মুহাম্মাদ শহিদুল ইসলাম।
এমএইচ/