জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সংস্কার, বিচার ও নতুন সংবিধানের দাবিতে এনসিপি তার আন্দোলন চালিয়ে যাবে। তিনি জানান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ইতোমধ্যে নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করে সংস্কারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। আগামী ৫ আগস্টের মধ্যে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণাপত্র আদায় করা হবে বলেও তিনি জানান।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চে জুলাই পদযাত্রা-পরবর্তী এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, “ব্রাহ্মণবাড়িয়া সবসময়ই ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। ২০২১ সালে দিল্লির আধিপত্যবিরোধী আন্দোলনেও এখানকার মানুষ রক্ত ও জীবন দিয়েছে।”
সমাবেশে এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, “রক্ত ও জীবনের বিনিময়ে যে পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখা হয়েছিল, তা দমন করার চেষ্টা হলে আবার রাজপথে জীবন দিয়ে সেই পরিবর্তন আদায় করা হবে। দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান দলীয়করণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাই এখন প্রয়োজন কাঠামোগত সংস্কার।”
দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “অনেকে ভেবেছিল ফ্যাসিবাদ শেষ। কিন্তু মাইলস্টোন দুর্ঘটনাকে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ আবার সংগঠিত হচ্ছে। তাই সব ফ্যাসিবাদবিরোধী দলকে ঐক্যবদ্ধভাবে তা মোকাবিলা করতে হবে।”
এদিন সকালে কর্মসূচির শুরু হয় স্থানীয় সার্কিট হাউসে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের মাধ্যমে। এরপর বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে জেলা পরিষদ সড়ক থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
পদযাত্রায় নেতৃত্ব দেন নাহিদ ইসলাম, আখতার হোসেন, হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলম, নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী, ডা. তাসনিম জারা, সামান্তা শারমিনসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। এতে এনসিপির কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ নাগরিকের অংশগ্রহণও ছিল চোখে পড়ার মতো।
পরে পদযাত্রার গাড়িবহর পার্শ্ববর্তী জেলা হবিগঞ্জ-এর উদ্দেশে রওনা হয়।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সংগঠক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জিহান, দক্ষিণাঞ্চলীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রধান সমন্বয়কারী আজিজুর রহমান লিটন, সিনিয়র যুগ্ম সমন্বয়কারী এসএম মহিউদ্দিন খানসহ জেলা ও উপজেলার নেতারা।
এমএইচ/