খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কার্যালয় প্রতিষ্ঠা স্থিতিশীল বাংলাদেশের পক্ষে হুমকি স্বরুপ। জাতিসংঘের সদস্য বিশ্বের প্রায় ২০০টি দেশের মধ্যে যে ১৬টি দেশে এই অফিস রয়েছে প্রতিটি দেশই অস্থিতিশীল। ফিলিস্তিন, সিরিয়ায় অফিস থাকা স্বত্বেও গণহত্যার বিরুদ্ধে এই কমিশনের কার্যকর কোনো ভূমিকা নেই অথচ ভারতে রাষ্ট্রীয়ভাবে কট্টর হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকার সংখ্যালঘু মুসলমানদের নির্বিচারে হত্যা করছে, মসজিদ-মাদরাসাসহ মুসলিম ঐতিহ্যের ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো ধংস করছে। সেখানে জাতিগত বিভেদ সরকারিভাবে উসকে দিচ্ছে, চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। সেখানে এই জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক অফিস স্থাপন করতে পারেনি। আমাদের পাশেই মায়ানমারে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে সেখানেও অফিস করতে পারেনি। ১৯৯৩ সালের ২০ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রামাণিকভাবে কমিশনটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী ও দেশের জন্য কাজ করছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় পল্টন কালভার্ট রোডস্থ ফায়েনাজ টাওয়ারে মজলিস মিলনায়তনে ইসলামী যুব মজলিস আয়োজিত “ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক অফিস স্থাপন : হুমকি ও বাস্তবতা” শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আহমদ আবদুল কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ৯০ভাগ সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম বসবাসকারী বাংলাদেশের জনগণের মজবুত ভিত্তি হচ্ছে LGBTQ ও সমকামিতার বিরুদ্ধে। সেখানে তথাকথিত এই কমিশন LGBTQ ও সমকামিতা প্রমোট করে থাকে যা বাংলাদেশের মতো একটি স্থিতিশীল দেশকে অস্থির করে তুলবে। তাই অবিলম্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এই চুক্তি বাতিল করতে হবে।
গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি তাওহীদ ইসলাম তুহিন।
ইসলামী যুব মজলিসের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সোহাইল আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত গোলটেবিল বেঠকে বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, অধ্যাপক আবদুল জলিল, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমিন সাদী, ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ রায়হান আলী, বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো: শায়খুল ইসলাম, বিশিষ্ট গবেষক ও রাষ্ট্রচিন্তক আসাদ পারভেজ।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী উত্তর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ আজিজুল হক, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও আইনজীবী মজলিসের কেন্দ্রীয় সহ -সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম, শ্রমিক মজলিস কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এইচএম এরশাদ, খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহ-সাধারণ সম্পাদক কাজী আরিফুর রহমান প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী যুব মজলিস কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মো: মহিউদ্দিন জামিল, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক মাইদুল ইসলাম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাফিজ মাওলানা মুহাম্মদ সালমান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মনসুর আহমদ, নারায়ণগঞ্জ মহানগর সভাপতি ডাক্তার মোতাহার হোসেন প্রমুখ।
এমএইচ/