ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব ও অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুস আহমদ আজ ২৪ জুলাই এক বিবৃতিতে বলেছেন, বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ তৈরি হয়েছে আইন, সংবিধান ও আদালত ব্যবহার করে। আর সেই যাত্রায় যারা আওয়ামী লীগকে নগ্নভাবে সহায়তা করেছেন তাদের অন্যতম ছিলো এই খাইরুল হক। খায়রুল হককে অবশেষে গ্রেফতার করায় সরকারকে ধন্যবাদ; একই সাথে খায়রুল হকের মতো কালপ্রিটকে এতোদিন মুক্তভাবে থাকতে দেয়ার জন্য সরকারকে দায়বদ্ধ করছি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও পতিত ফ্যাসিবাদ গোপালগঞ্জে মব সৃষ্টি করার সাহস পাচ্ছে, রাষ্ট্রের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে হানা দেয়ার সাহস করছে তার প্রধান কারণ এই বিচারহীনতা। অথচ জুলাই অভ্যুত্থানের রক্ত ও উৎসর্গিত জীবনের প্রত্যাশা ছিলো ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার সাথে জড়িত আমলা, বিচারক ও সামরিক কর্তাদের দ্রুততার সাথে গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনা। কিন্তু তা হয় নাই। কেবল ঢাকায় গুটিকয়েক কালপ্রিটকে আটক করে বিচার কার্যক্রম চলছে। এটা হতাশাজনক।
অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জোর দাবী জানাচ্ছে যে, ফ্যাসিবাদের সাথে জড়িত সকল আমলা, বিচারক, তথাকথিত শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক ও অপরাধী সামরিক কর্তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
ট্রাইব্যুনালকে জেলায় জেলায় নিয়ে যেতে হবে এবং বিভিন্ন জেলায়, থানায়, ইউনিয়নে ফ্যাসিবাদের হয়ে নির্যাতন, নিপিড়ন করেছে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। ঢাকায় আটক মন্ত্রী, এমপি ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের বিচার দ্রুততার সাথে শেষ করতে হবে এবং বিচারের বাস্তবায়ন করতে হবে।
এমএইচ/