সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫ ।। ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১০ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য-সমঝোতা কতদূর? গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী উত্তর-এর সমাবেশ  আদর্শিক বিরোধে গণ-অভ্যুত্থানে কারো অবদান অস্বীকার করা উচিত নয় : মাহফুজ আলম ইসলামি চার রাজনৈতিক দলের লিয়াঁজো কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত ‘স্বৈরতন্ত্র ও স্বৈরতান্ত্রিক বন্দোবস্তের স্থায়ী বিলোপের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’ মোবাইলে লাউডস্পিকারে কথা বলা; ইসলাম কি বলে: শায়খ আহমদুল্লাহ জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনতার বিস্ফোরণ: রাষ্ট্রপতি মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে ড. শোয়াইব আহমদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা সব ধরনের দূষণ রোধে আলেম-ওলামার সহযোগিতা চায় সরকার

মওলানা ভাসানী না থাকলে শেখ মুজিব তৈরি হত না: নাহিদ ইসলাম

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, “আজকের এই সমাবেশ থেকে আমরা শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাচ্ছি মওলানা ভাসানীকে। আপনাদের সবাই জানেন যে, মওলানা ভাসানীর অবদান যথাযথভাবে স্মরণ করা হয় না। শেরে বাংলা ফজলুল হক ও মওলানা ভাসানীর মতো মহান রাজনৈতিক নেতাদের ভূমিকা এদেশের ইতিহাসে অনেক সময় উপেক্ষিত থাকে। তাঁদের ছাড়া, বাংলাদেশের জাতির পিতা হিসেবে অন্য একজনকে ঘোষণা করা হয়েছে, যাকে ৫৪ বছর ধরে পূজা করা হয়েছে। কিন্তু মওলানা ভাসানী না থাকলে শেখ মুজিব তৈরি হতে পারতো না।”

তিনি মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুর দেড়টায় টাঙ্গাইল শহরের নিরালা মোড়ে জুলাই পদযাত্রায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, “মওলানা ভাসানী ছিলেন প্রথম ব্যক্তি, যিনি পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠীকে বিদায় করতে কাগমারী সম্মেলনে ঘোষণা করেছিলেন। তিনি ছিলেন প্রথম রাজনীতিবিদ, যিনি বুঝেছিলেন পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠীর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক স্থাপন সম্ভব নয়। মওলানা ভাসানী ছিলেন তৃণমূলের নেতা। স্বাধীনতার পরে তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা পিন্ডির ভেঙেছি, দিল্লির দাসত্ব করতে নয়, দিল্লির গোলামি করতে নয়।’ মওলানা ভাসানী একদিকে ব্রিটিশ উপমহাদেশের শাসন এবং পিন্ডির ও দিল্লির আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন। সেই লড়াইয়ের সূচনা করেছিলেন তিনি।”

তিনি আরো বলেন, “এই টাঙ্গাইলের প্রতিটি ইঞ্চি সংগ্রামের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়েছে। কৃষকের ঘামে গড়া এই টাঙ্গাইল আমাদের দেশের ইতিহাসের বিভিন্ন পর্বে লড়াইয়ের প্রেক্ষাপট হিসেবে চিহ্নিত। টাঙ্গাইলের ইতিহাসে প্রথম যিনি কথা বলার মতো, তিনি হলেন মেহনতি মানুষের নেতা, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। তিনি শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো উপমহাদেশের এক অনন্য রাজনৈতিক পুরুষ ছিলেন।”

নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, “ভাসানীর রাজনীতি শুরু হয়েছিল আসামে, যেখানে বাঙালি মুসলিম কৃষকরা তাদের জমির অধিকার নিয়ে লড়াই করেছিলেন। সেই লড়াই আজও চলমান, যেখানে আসামের বাঙালি মুসলিম ও হিন্দুদের নিজেদের পরিচয়ের জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে, কারণ তারা সেখানে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে পরিচিত। মওলানা ভাসানী যে লড়াই শুরু করেছিলেন, তা আজও টাঙ্গাইল ও পূর্ববাংলার মানুষদের মধ্যে সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে মওলানা ভাসানী ছিলেন এক নেপথ্য কারিগর।”

তিনি বলেন, “মওলানা ভাসানী ছিলেন কৃষক, শ্রমিক এবং সাধারণ মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য অবিরাম সংগ্রামী। তার আদর্শকে মেনে, জাতীয় নাগরিক পার্টি বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করবে।”

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম-সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারীসহ দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ