সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫ ।। ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১০ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য-সমঝোতা কতদূর? গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী উত্তর-এর সমাবেশ  আদর্শিক বিরোধে গণ-অভ্যুত্থানে কারো অবদান অস্বীকার করা উচিত নয় : মাহফুজ আলম ইসলামি চার রাজনৈতিক দলের লিয়াঁজো কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত ‘স্বৈরতন্ত্র ও স্বৈরতান্ত্রিক বন্দোবস্তের স্থায়ী বিলোপের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’ মোবাইলে লাউডস্পিকারে কথা বলা; ইসলাম কি বলে: শায়খ আহমদুল্লাহ জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনতার বিস্ফোরণ: রাষ্ট্রপতি মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে ড. শোয়াইব আহমদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা সব ধরনের দূষণ রোধে আলেম-ওলামার সহযোগিতা চায় সরকার

‌‘জাতিসংঘ একটি অভিশপ্ত সংঘ, তার অফিস প্রত্যাহার করতে হবে’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম বলেছেন, ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস প্রত্যাহার করতে হবে। জাতিসংঘ একটি অভিশপ্ত সংঘ। জাতিসংঘের কার্যালয় বিশ্বের ১৬টি দেশে আছে। ঐ ষোলটি দেশেই মানবাধিকার লংঘন সবচেয়ে বেশি হচ্ছে। ফিলিস্তিনি, সিরিয়া, ইরাকসহ বিভিন্ন্ন দেশে মুসলমানদের রক্ত ঝড়ছে, জাতিসংঘ কী করছে। যারা নিজেরাই মানবাধিকার কী বুঝে না বা বুঝলেও সে অনুযায়ী কাজ করে না, এমন মানবাধিকার কার্যালয় বাংলাদেশের মানুষ চায় না। বাংলাদেশ সম্প্রীতির দেশ, এখানে মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, খুবই চমৎকারভাবে পরস্পর সম্প্রীতির সাথে বসবাস করে আসছে। কোন সমস্যা হয়নি। তাহলে জাতিসংঘের মানবাধিকারের অফিস কেন? কোন প্রয়োজন নেই।

আজ বুধবার বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ বাংলাদেশের এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারী জেনারেল বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেকুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক, জিএম কিবরিয়া, মাস্টার আব্দুল হামিদ, আব্দুস সাত্তার প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম বলেন, ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের মিশন চালু হলে সার্বভৌমত্বগত সমস্যা এবং দেশের অভ্যন্তরীণ নানান বিষয়ে হস্তক্ষেপের সুযোগ সৃষ্টি হবে। পররাষ্ট্রনীতির স্বকীয়তা হারাবে। মানবাধিকার কার্যালয়ের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ মদদে পার্বত্য চট্টগ্রাম অস্থিতিশীল হবে। পাহাড়ের সন্ত্রাসী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীরা আরো বেশি সক্রিয় হয়ে উঠবে। দক্ষিণ এশিয়ার মানচিত্র পরিবর্তন তথা পরিকল্পিত ইহুদীবাদী খ্রিস্টান রাষ্ট্র গঠন তরান্বিত হবে ইত্যাদি। কাজেই বৃহত্তর মুসলিম জনগোষ্ঠীর মতামতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শণ করে এ কার্যালয় স্থাপন হলে তা কোনভাবেই মেনে নেয়া হবে না।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ