জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র এক জিনিস নয়। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ দুটোকে গুলিয়ে ফেলার মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালানো হচ্ছে, যা এনসিপির অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।
বুধবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে চলমান রাজনৈতিক সংলাপের মধ্যবর্তী চা-বিরতিতে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “জুলাই ঘোষণাপত্র হলো গত বছরের গণঅভ্যুত্থান ও ৫ আগস্টের বিজয়ের ঐতিহাসিক স্বীকৃতি—যার আইনি ভিত্তি থাকা প্রয়োজন। এটি একটি ঐতিহাসিক দলিল। অন্যদিকে, জুলাই সনদ হচ্ছে রাজনৈতিক সংস্কারের প্রস্তাবগুলোর বাস্তবায়নযোগ্য রূপরেখা।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই কার্যকর, পূর্ণাঙ্গ এবং আইনি ভিত্তিসম্পন্ন একটি জুলাই সনদ—যেটি অবিলম্বে বাস্তবায়নযোগ্য। এমন অকার্যকর, অপূর্ণ বা প্রতীকী কোনো দলিল নয়, যা অতীতের মতো শুধু ইতিহাসে ঠাঁই পাবে।”
কমিশনের প্রাথমিক খসড়ায় প্রস্তাবিত দুই বছরের বাস্তবায়নকালকে প্রত্যাখ্যান করে আখতার বলেন, “এই বিলম্ব জনগণের সঙ্গে প্রতারণা। সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণের কোনো সুযোগ নেই।”
জুলাই ঘোষণাপত্র প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এখানে একচুল ছাড় নেই। যদি সরকার ৩৬ জুলাইয়ের মধ্যে এটি জারি না করে, তাহলে এনসিপি নিজেই দেশের ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে ঘোষণাপত্র প্রকাশ করবে।”
আখতার আরও জানান, সরকার ইতিমধ্যে একটি খসড়া দিয়েছে এবং এনসিপিও নিজেদের পরিণত খসড়া জমা দিয়েছে। তবে বাস্তব অগ্রগতি এখনও দৃশ্যমান নয়। তিনি বলেন, “সরকার আন্তরিক হলে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করলে ৩৬ জুলাইয়ের মধ্যেই একটি পরিপূর্ণ ও সাংবিধানিক ভিত্তিসম্পন্ন ঘোষণাপত্র প্রকাশ সম্ভব।”
শেষে তিনি বলেন, “গণঅভ্যুত্থানে যাঁরা জীবন দিয়েছেন, তাঁদের আত্মত্যাগ যেন ঘোষণাপত্রে যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়—আমরা সেটিই চাই।”
এমএইচ/