ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই আজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পরে দেশকে ভবিষ্যতে স্বৈরতন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতির নির্বাচন আয়োজনের দাবী জানিয়ে আসছিলো। কারণ, রাষ্ট্র পরিচালনায় দেশের সকল নাগরিকের মতের প্রতিফলন নিশ্চিত করতে হলে এবং ভোটের ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে হলে পিআর পদ্ধতি-ই সর্বোত্তম পদ্ধতি। সংস্কার বিষয়ক আলোচনায় শেষ দিকে এসে উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতিতে সদস্য মনোনয়নের সিদ্ধান্ত নেয়ায় জাতির প্রত্যাশার আংশিক বাস্তবায়ন হয়েছে। বিএনপির মতো দলের তীব্র বিরোধিতা সত্যেও এই সিদ্ধান্ত নেয়ায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যবৃন্দ এবং আলোচনায় অংশ নেয়া রাজনৈতিক শক্তি ও ব্যক্তিবর্গের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, বাংলাদেশকে সঠিক ধারায় পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজনীয় চরিত্র ও নীতিমালা সম্পর্কে দেশের রাজনীতিবিদদের সম্যক ধারণা আছে। কিন্তু সমস্যা হলো বাস্তবায়নে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, বিগত ৫৪ বছরের বাস্তবতায় আমরা জানি, পৃথিবীর সকল দেশ যেখানে ক্রমান্বয়ে উন্নতির দিকে গিয়েছে সেখানে বাংলাদেশ ক্রমান্বয়ে অবনতির দিকে ধাবিত হয়েছে। এর প্রধান কারণ রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব।
তিনি আরও বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পরে রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রশ্নে ইতিবাচক অগ্রগতি দেখা গেলেও সামগ্রিক সংস্কারকে তার ওপরে ছেড়ে দেয়া জুলাইয়ের রক্তের সাথে গাদ্দারী হতো।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, এতো এতো আলোচনা করেও মৌলিক সংস্কারের একটা বড় অংশে এখনো ঐকমত্যে পৌছানো যায় নাই। উচ্চকক্ষে পিআর না হলে এখন যেসব সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে সেগুলোও ভবিষ্যতে কার্যকর থাকতো কিনা সেই সন্দেহ এখনো বিদ্যমান। তাই উচ্চকক্ষে পিআর জুলাই চেতনা বাস্তবায়নের পথে একটি রক্ষাকবচ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলো।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর বলেন, তবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ উভয় কক্ষে পিআর বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রাজনৈতিক সংগ্রাম অব্যাহত রাখবে ইনশাআল্লাহ।
এমএইচ/