খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, আওয়ামী বিরোধী সকল শক্তি-সুধীজনই হচ্ছে ঐতিহাসিক জুলাই বিপ্লবের অংশীদার। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আজ কেউ কেউ সেই বিপ্লবের কৃতিত্ব নিয়ে বিভাজনের রাজনীতি করছে, যা জাতিকে আবারও দ্বিধা ও অনৈক্যের পথে ঠেলে দিচ্ছে। অথচ এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, রাষ্ট্র মেরামতের লক্ষ্যে 'জুলাই শক্তি’র মাঝে আরও সুদৃঢ় ঐক্য গড়ে তোলা।
আজ বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের উদ্যোগে “জুলাই বিপ্লব: প্রত্যাশা, প্রাপ্তি ও ভবিষ্যতের পথরেখা“ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আহমদ আবদুল কাদের এসব কথা বলেন।
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব বলেন, “২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণআন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটে। কিন্তু প্রায় এক বছর পার হয়ে গেলেও আমরা আমাদের কাঙ্খিত বিজয় ও আকাঙ্খার পূর্ণতা পাইনি। ক্ষমতার পরিবর্তন ঘটলেও কাঠামোগতভাবে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতি এখনো বহাল রয়েছে। বাস্তবতা হলো, ফ্যাসিবাদী শক্তির সহযোগীরা আজও পুরোপুরি বিচারের আওতায় আসেনি।”
তিনি আরও বলেন “বর্তমান সরকার জনগণের প্রত্যাশা পূরণের পরিবর্তে বিদেশি এজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। তথাকথিত মানবাধিকার অফিস, মানবিক করিডরের মতো নানা পাঁয়তারা দেশের আভ্যন্তরীণ স্বার্থকে বিপন্ন করছে। শিক্ষা খাতে এখনও দখলদারমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত হয়নি, শিক্ষায় কাঙ্খিত সংস্কারের কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।”
ড. আহমদ আব্দুল কাদের সতর্ক করেন, “মানবাধিকার সংস্থার নামে পশ্চিমা প্রভাব ও মতবাদ সৃষ্টিকারী কোনো প্রতিষ্ঠানের অপতৎপরতা যেন এ দেশে শেকড় গেড়ে বসতে না পারে, সে বিষয়ে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।”
বক্তব্যের শেষভাগে তিনি বলেন, “দেশের এই ক্রান্তিকালে দল-মতের উর্ধ্বে উঠে ইনসাফভিত্তিক ও কল্যাণমুখী রাষ্ট্র গঠনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এটাই হবে প্রকৃত অর্থে জুলাই বিপ্লবের সফল পরিণতি।”
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ রায়হান আলী'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রবন্ধ পাঠ করেন সংগঠনের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল ।
সেক্রেটারি জেনারেল কে এম ইমরান হুসাইনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. আ.খ.ম ইউনুস, এম আই এস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম অপু, খেলাফত মজলিস ঢাকা জেলা শাখার সহ-সভাপতি ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক একেএম এনামুল হক, সংগঠনের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি বিলাল আহমদ চৌধুরী।
ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সহ সভাপতি মুনতাসীর আহমদ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. শ্যামল মালুম, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের সদস্য সচিব জাহিদ আহসান, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি মাসুদ রানা জুয়েল, জাগপা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রহমান ফারুকী, জাতীয় যুবশক্তির(এনসিপি) কেন্দ্রীয় সংগঠন আহম্মেদ ইসহাক, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র সমাজের সভাপতি বি এম আমির জিহাদী, নাগরিক ছাত্র ঐক্যের সভাপতি মুহাম্মদ তরিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ ছাত্র মিশনের সভাপতি সৈয়দ মুহাম্মদ মিলন, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক ইনামুল হাসান নাঈম, ন্যাশনাল ছাত্র মিশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজাউল ইসলাম, ছাত্র ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ হোসেন, বৈষম্য বিরোধী কওমী ছাত্র ফোরামের সেক্রেটারি জুনাইদ আহমেদ মাকসুদ, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রতিনিধি সালেহীন, জুলাই ফোর্সের সদস্য সচিব এম আবু বকর শেখ।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাবেক কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য শেখ শাব্বির আহমদ, অংকুরের নির্বাহী পরিচালক শাহ শিহাব উদ্দিন, খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি আবুল হোসেন, ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় বায়তুলমাল সম্পাদক মুহাম্মদ ইসমাঈল খন্দকার, ছাত্রকল্যাণ ও মাদ্রাসা কার্যক্রম সম্পাদক আহসান আহমাদ খান, প্রশিক্ষণ ও ক্যাম্পাস কার্যক্রম সম্পাদক জাকারিয়া হোসাইন জাকির, অফিস সম্পাদক নূর মোহাম্মদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাহমুদুল হাসান ত্বহা, পাঠাগার সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাসেল,কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগর শাখা সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সভাপতি এইচ এম শাহাব উদ্দিন, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি সাইফুদ্দিন আহমদ, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি সাকিব মাহমুদ রুমি, কেন্দ্রীয় জোন সদস্য তৌফিক বিন হারিছ প্রমুখ।
এমএইচ/