বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ অভিযোগ করেছেন, মুরাদনগরে একটি মহল প্রশাসনকে ব্যবহার করে একচেটিয়া আধিপত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। বিশেষ করে ছাত্রদলের এক উপদেষ্টার নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই ব্যক্তি এলাকায় ভয়ভীতি ও দমন-পীড়নের পরিবেশ তৈরি করছেন।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কায়কোবাদ বলেন, মুরাদনগরে বর্তমান পরিস্থিতির জন্য পুলিশের একটি অংশ দায়ী। তারা এক প্রভাবশালী যুবকের তদবিরে প্রশাসনকে ব্যবহার করছে। তার অভিযোগ, এ যুবক দলের কেউ না হয়েও দলের ছায়ায় থেকে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করছেন।
তিনি বলেন, “এই উপদেষ্টা হওয়ার আগ পর্যন্ত সে এভাবে আচরণ করেনি। এখন তাকে ঘিরে এলাকায় পুরনো সন্ত্রাসীরা আবার সক্রিয় হয়েছে। সরকারি সাহায্যও এখন তাদের মাধ্যমে বণ্টন হচ্ছে।”
এক প্রশ্নের জবাবে কায়কোবাদ বলেন, “আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যেভাবে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে, তাতে মনে হয় প্রতিহিংসার রাজনীতি চলছে। তিন ট্রিপল মার্ডারের মতো ঘটনা ঘটছে অথচ প্রকৃত আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে।”
তিনি আরো বলেন, “মুরাদনগরে একটি পক্ষ নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য প্রশাসনকে ব্যবহার করছে। যারা সাধারণ মানুষ, তারাও এ পরিস্থিতিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। নিরপেক্ষ তদন্ত ছাড়া কোনো সমাধান সম্ভব নয়।”
আওয়ামী লীগ সম্পর্কে তিনি বলেন, “সব আওয়ামী লীগ খারাপ নয়। কিন্তু কিছু সন্ত্রাসীচক্রের জন্যই দলের এই অবস্থা হয়েছে। তাদের দমন না করলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা সম্ভব নয়।”
শেষে কায়কোবাদ দাবি করেন, “মুরাদনগরে প্রকৃত চিত্র জানতে চাইলে তদন্ত করে দেখতে হবে। আমি সব বললে রাজনৈতিকভাবে ব্যাখ্যা করা হবে। তাই তদন্ত হোক, আর দোষীরা আইনের আওতায় আসুক।”
এসএকে/