সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫ ।। ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১০ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য-সমঝোতা কতদূর? গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী উত্তর-এর সমাবেশ  আদর্শিক বিরোধে গণ-অভ্যুত্থানে কারো অবদান অস্বীকার করা উচিত নয় : মাহফুজ আলম ইসলামি চার রাজনৈতিক দলের লিয়াঁজো কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত ‘স্বৈরতন্ত্র ও স্বৈরতান্ত্রিক বন্দোবস্তের স্থায়ী বিলোপের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’ মোবাইলে লাউডস্পিকারে কথা বলা; ইসলাম কি বলে: শায়খ আহমদুল্লাহ জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনতার বিস্ফোরণ: রাষ্ট্রপতি মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে ড. শোয়াইব আহমদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা সব ধরনের দূষণ রোধে আলেম-ওলামার সহযোগিতা চায় সরকার

ঐকমত্য কমিশনের আচরণে নিন্দা ও ক্ষোভ ইসলামী আন্দোলনের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ শুক্রবার (১ আগস্ট) দলের এক বৈঠকে বলেছেন, পিআর নিয়ে গণমানুষের মধ্যে সাধারণ ঐক্য তৈরি হয়েছে। দেশ থেকে স্বৈরতন্ত্রকে চিরস্থায়ী উৎখাত করার নিমিত্তে জুলাই অভ্যুত্থানের যে আকাঙ্ক্ষা তা নিশ্চিত করতে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতির নির্বাচন-ই একমাত্র সমাধান।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ২০০৮ সাল থেকে পিআর নিয়ে কাজ করে আসছে। সাম্প্রতিক পিআর নিয়ে জনমত গড়ে তুলেছে, রাজনৈতিক যুথবদ্ধতা গড়ে তুলেছে। ঐকমত্য কমিশনের সাথে একক আলোচনায় পিআরের পক্ষে জোরালো অবস্থান জানিয়েছে। লিখিতভাবে পিআর নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়েছে। আমাদের প্রতিনিধিগণ ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় বারংবার এটাকে এনেছেন। কিন্তু ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফা আলোচনার এজেন্ডাতে নিম্নকক্ষে নির্বাচন পদ্ধতি বিষয়টিই অন্তর্ভুক্ত করা হয় নাই।

গতকাল আমাদের প্রেসিডিয়াম সদস্য বিষয়টি এজেন্ডাভুক্ত করার দাবি জানালেও রুঢ়ভাবে তা প্রত্যাখ্যান করা হয়। নিম্নকক্ষে পিআরের আলোচনাকে এজেন্ডাভুক্ত না করা এবং আলোচনা তুলতে বাধা দেওয়ার ঘটনায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ক্ষোভ প্রকাশ করছে এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আচরণের নিন্দা প্রকাশ করছে।

দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ বাদ জুমা জুলাই সনদের খসড়া নিয়ে পর্যালেচনা বৈঠকে দলের মুখপাত্র ও যুগ্মমহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, দেশের সকল মানুষের ভোটের মূল্যায়ন করতে, দেশকে ভোট নিয়ে অরাজকতা, হানাহানি, সন্ত্রাস থেকে মুক্ত করতে পিআর পদ্ধতির কোনো বিকল্প নাই। সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায় বিচারের প্রশ্নে পিআরই সর্বোত্তম পন্থা। আমরা উভয় কক্ষেই পিআর চেয়েছি। এবং সংসদের নিম্নকক্ষই যেহেতু জনপ্রতিনিধিত্ব, আইন প্রণয়ন ও জবাবদিহিতার প্রধান কেন্দ্র সেহেতু নিম্নকক্ষে পিআর বেশি জরুরি। নিম্নকক্ষে পিআর না হলে দেশে স্বৈরতন্ত্রের প্রলম্বিত অপচ্ছায়া থেকেই যাবে।

কিন্তু একটি রাজনৈতিক দলের বিরোধিতার কারণে দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ও বুদ্ধিজীবীদের মতামতকে এত নগ্ন ও বেপরোয়াভাবে উপেক্ষা করা প্রকারান্তরে জুলাইয়ের রক্তকে উপেক্ষা করা। আমরা এটা প্রত্যাশা করি নাই।

তিনি বলেন, আমরা ইতিবাচক রাজনীতি করি। সর্বদা সম্ভাবনাকে স্বাগত জানাই, আলিঙ্গন করি। সেই কারণেই উচ্চকক্ষে পিআরের সিদ্ধান্তকে আমাদের আমিরের পক্ষ থেকে স্বাগত জানানো হয়েছে। ঐকমত্য কমিশনকে ধন্যবাদ দেওয়া হয়েছে। আমরা ঐকমত্য কমিশনকে বলবো, নিম্নকক্ষে পিআর পদ্ধতির আলোচনা এজেন্ডায় আনুন। আলোচনা হোক। যদি আলোচনায় এই ব্যাপারে ঐকমত্যে না পৌঁছানোও যায় তাহলেও এর রেকর্ড থাকুক।

ইতিহাস জানবে, কে বা কারা দেশের কল্যাণের পথে বাঁধা সৃষ্টি করেছে। কাদের কারণে স্বৈরতন্ত্রকে চিরস্থায়ী উৎখাত করা যায় নাই। আর ঐকমত্য কমিশন যদি এটাকে এজেন্ডাতেই না আনেন তাহলে এর দায়ভার আপনাদেরকেই বহন করতে হবে।


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ