সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫ ।। ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১০ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য-সমঝোতা কতদূর? গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী উত্তর-এর সমাবেশ  আদর্শিক বিরোধে গণ-অভ্যুত্থানে কারো অবদান অস্বীকার করা উচিত নয় : মাহফুজ আলম ইসলামি চার রাজনৈতিক দলের লিয়াঁজো কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত ‘স্বৈরতন্ত্র ও স্বৈরতান্ত্রিক বন্দোবস্তের স্থায়ী বিলোপের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’ মোবাইলে লাউডস্পিকারে কথা বলা; ইসলাম কি বলে: শায়খ আহমদুল্লাহ জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনতার বিস্ফোরণ: রাষ্ট্রপতি মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে ড. শোয়াইব আহমদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা সব ধরনের দূষণ রোধে আলেম-ওলামার সহযোগিতা চায় সরকার

আ. লীগকে রাজনৈতিকভাবে নিশ্চিহ্ন করলেই ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি সম্ভব: মির্জা ফখরুল


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে নিশ্চিহ্ন করতে পারলেই দেশ ফ্যাসিবাদ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার (১ আগস্ট) উত্তরা আজমপুরে ‘জুলাই শহীদদের’ স্মরণে আয়োজিত বিএনপির এক সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।

আওয়ামী লীগের শাসনামলের কঠোর সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, “ভয়ংকর এক ফ্যাসিবাদ থেকে আমরা আপাতত মুক্ত হয়েছি। কিন্তু এই মুক্তি চূড়ান্ত হবে তখনই, যখন আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে সম্পূর্ণরূপে পরাজিত করা যাবে।”

তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা এই দেশকে ধ্বংস করেছে। তাদের প্রতি ঘৃণা তৈরি করুন। যেন তারা আর কখনো ফিরে এসে আমাদের তরুণদের হত্যা করতে না পারে—সেই ব্যবস্থাই করতে হবে।”

জুলাই আন্দোলনের শহীদদের প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমরা আশা করেছিলাম শহীদদের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করে তাদের পরিবারকে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। যদিও সরকার পুরোপুরি সেটা করতে পারেনি, তবে কিছু উদ্যোগ নিয়েছে—সে জন্য ধন্যবাদ জানাই।”

ফখরুল বলেন, “মানুষ এখন শুধু স্লোগান দেখতে চায় না, মানুষ দেখতে চায় কার্যকর উদ্যোগ। তারা দেখতে চায়—দেশের মঙ্গল হচ্ছে কি না।”

গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা এমন এক গণতন্ত্র চাই, যেখানে মানুষ স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারবে, নিজ হাতে নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারবে। দিনের ভোট রাতে কিংবা জাল ভোট ও লুটপাটের রাজনীতি মানুষ আর চায় না।”

বর্তমান সরকারের অধীনে অন্তর্বর্তীকালীন সময়কে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার ভিত্তিতে আমরা একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের প্রত্যাশা করছি। নির্বাচন শুধু আমাদের না, দেশের মানুষও চায়। আমাদের একটি কার্যকর সংসদ দরকার, যেখানে জনগণের কথা বলা যাবে।”

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “শহীদদের ভুলে যাবেন না। যারা এ দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছে, সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছে—তাদের স্মরণ রাখুন। যদি এই অনুভূতি হৃদয়ে না থাকে, তাহলে দেশের জন্য কিছু করা সম্ভব নয়।”

শেষে আক্ষেপ করে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমাদের তরুণদের এত আত্মত্যাগ, সাধারণ মানুষের এত ত্যাগ—তার বিনিময়ে যখন দেশে অস্থিরতা দেখি, তখন খুব কষ্ট হয়। আমরা চাই, সবাই মিলে একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ি।”

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ