শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫ ।। ২৯ চৈত্র ১৪৩১ ।। ১৪ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
আগাম হুমকির পরেও নিরাপত্তা নিয়ে বেখেয়ালী ছিল ঢাবি প্রশাসন সোহরাওয়ার্দী ময়দানে ‘মার্চ ফর গাজা’: খাবার বিতরণ করবে তাকওয়া ফাউন্ডেশন  নোয়াখালীতে যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা ‘মার্চ ফর গাজা’ সফল করতে আসছে স্রোতের মত মিছিল, জনতার ঢল সোহরাওয়ার্দীতে অন্তালিয়ায় আরব-ইসলামিক মন্ত্রীপরিষদের সম্মেলন: গাজা ও পশ্চিম তীরকে ঐক্যবদ্ধ করার আহ্বান, যুদ্ধবিরতির জোর দাব গ্রীষ্মে কোন সময়ে হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী? গলাচিপায় ভয়াবহ আগুন : ১০ দোকান পুড়ে ছাই ‘মার্চ ফর গাজা’য় সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে আসার আহ্বান শায়খ আহমাদুল্লাহর বিতর্কিত ওয়াকফ বিলের প্রতিবাদে উত্তাল পশ্চিমবঙ্গ  ১০ হাজার ফিলিস্তিনি শিশুর দায়িত্ব নিতে চায় বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান

গাজায় প্রতি ১০ মিনিটেই মরছে একজন শিশু


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

 

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার পরিস্থিতি দিন দিন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। সেখানে প্রতিনিয়ত প্রাণ হারাচ্ছে নিরীহ মানুষ। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক তহবিল সেভ দ্য চিলড্রেনের ফিলিস্তিনি শাখার আঞ্চলিক পরিচালক জেসন লি বলেছেন, গাজায় প্রতি ১০ মিনিটে একজন শিশু নিহত হচ্ছে।

জেরুজালেম থেকে বিবিসির সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, সেখানে আহত ২০ হাজার বেসামরিক নাগরিকের তিনজনের মধ্যে একজনই শিশু।

জনাকীর্ণ পরিস্থিতি এবং স্বাস্থ্যবিধির অভাবে সেখানে সংক্রামক রোগ বাড়ছে বলেও জানান তিনি। জেসন লি বলেন, সেখানে ইনফ্লুয়েঞ্জা ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তার মতে, গাজায় যে ত্রাণ সহায়তা পাঠানো হয়েছে তা সাগরের মধ্যে এক ফোঁটা পানি ফেলার মতো। সেখানে আরও বেশি খাবার, চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং জ্বালানির প্রয়োজন।

প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সংঘাতে হাজার হাজার শিশুর মৃত্যু হচ্ছে। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহে গাজায় যে পরিস্থিতি চলছে তা বিশ্বের যে কোনো প্রান্তের যে কোনো পরিস্থিতির চেয়ে ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। এর আগে সেভ দ্য চিলড্রেন জানায়, ২০১৯ সালের পর বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সংঘাতের কারণে বছরে যত শিশুর মৃত্যু হয়েছে গত তিন সপ্তাহে গাজায় তার চেয়ে বেশি শিশু নিহত হয়েছে।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে রোববার (৩০ অক্টোবর) শিশু বিষয়ক এই এনজিও একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেখানে জানানো হয়, গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় প্রায় ৩ হাজার ৩২৪ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া পশ্চিমতীরে মারা গেছে আরও ৩৬ শিশু।  জাতিসংঘ মহাসচিবের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালে ২৪টি দেশে মোট ২ হাজার ৯৮৫ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ২০২১ সালে এই সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৫১৫ এবং ২০২০ সালে ২২টি দেশে ২ হাজার ৬৭৪ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপর থেকেই গাজায় বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১৪০০ জন নিহত এবং ২২৯ জনকে জিম্মি করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়।

একটি শিশুর মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। কিন্তু সেখানে প্রতিনিয়ত শত শত শিশু প্রাণ হারাচ্ছে। গাজায় সংঘাতের মাশুল দিতে হচ্ছে তাদের। জেসন লি বলেছেন, একমাত্র যুদ্ধবিরতিই এসব শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে।

এদিকে গাজায় এখনও প্রায় এক হাজার শিশু নিখোঁজ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এসব শিশু হয়তো ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকা পড়েছে। গাজায় হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে ৮ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।

এমআই/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ