শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বকেয়া বেতনের দাবিতে ভালুকায় শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ শিশু-কিশোর সংগঠন 'অংকুর' এর সীরাতুন্নবী সা. কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই - খুলনা ইসলামী আন্দোলন  কাতারের মধ্যস্থতায় আফগানিস্তানে কারাবন্দি ব্রিটিশ দম্পতির মুক্তি মাদকের বিরুদ্ধে মুরাদনগরে ওলামা পরিষদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পাকিস্তানে পৃথক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১১ ইসলামি বইমেলা পরিদর্শনে জাতীয় মসজিদের খতিব প্রাথমিকে গানের নয়, ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে: শায়খে চরমোনাই পীর সাহেব চরমোনাইয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ‘মিট আপ’ আফগানিস্তানের বাগরাম বিমান ঘাঁটি আবারও নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

গাজায় ক্ষুধার্ত শিশুকে গুলি করে হত্যা: ইসরায়েলি নৃশংসতা নিয়ে মুখ খুললেন সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ত্রাণ সংগ্রহের পরপরই আমির নামের এক ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনি শিশুকে গুলি করে হত্যা করেছে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা। এই হৃদয়বিদারক ঘটনার সাক্ষী হয়ে ইসরায়েলি বর্বরতার বিরুদ্ধে এবার সরব হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সেনা কর্মকর্তা এবং গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) সাবেক সমন্বয়ক অ্যান্থনি অ্যাগুইলা।

মিডল ইস্ট আই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অ্যাগুইলা বলেন, ২৮ মে তিনি গাজার দক্ষিণে একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করছিলেন। সেদিন খালি পায়ে ছুটে আসা একটি কঙ্কালসার ছেলেকে তিনি ত্রাণ নিতে আসতে দেখেন। ছেলেটির নাম ছিল আমির। তার শরীরে ছেঁড়া ও ধুলোমাখা জামা কাপড়, মুখে ক্ষুধার ক্লান্তি—তবুও ত্রাণ পেয়ে আনন্দে শিশুটি তাঁকে জড়িয়ে ধরে গালে চুমু দেয় এবং ইংরেজিতে বলে, “Thank you.”

কিন্তু ত্রাণ নিয়ে ফিরে যাওয়ার সময়ই ঘটে মর্মান্তিক ঘটনা।

অ্যাগুইলা বলেন, "আমির যখন ফিরে যাচ্ছিল, ইসরায়েলি সেনারা তার দিকে প্রথমে পিপার স্প্রে ও স্টান গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এরপর শুরু হয় নির্বিচার গুলি বর্ষণ। শিশু আমিরও পড়ে যায় ইসরায়েলি গুলিতে। গুলিবিদ্ধ হয় আরও অনেকে।"

সাবেক এই মার্কিন সেনা কর্মকর্তা বলেন, এ দৃশ্য আজও তাকে তাড়া করে ফেরে। একটি নিষ্পাপ, ক্ষুধার্ত শিশুকে খাদ্য দেওয়ার পর তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে শুধু তার জাতিগত পরিচয়ের কারণে।

অ্যাগুইলা ছিলেন গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)-এর একজন কর্মকর্তা। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল সমর্থিত এই বিতর্কিত ত্রাণ সংস্থা গাজায় কার্যক্রম শুরু করে চলতি বছরের মে মাসে। কিন্তু বিভিন্ন ত্রাণকেন্দ্রে যাওয়ার পথে কিংবা সেখান থেকে ফেরার পথে ইসরায়েলি সেনাদের হাতে প্রাণ হারিয়েছেন এক হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো বহুবার সতর্ক করলেও, গাজার ঘেরাওকৃত এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা ও খাদ্যবঞ্চিত জনগণের ওপর দমন-পীড়ন চলছে প্রায় নির্বিঘ্নেই।

এই ঘটনা আবারও ইঙ্গিত দেয়—গাজার জনগণ শুধু ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসনের নয়, বরং পদ্ধতিগত নিষ্ঠুরতা ও বৈষম্যের শিকার। ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র পর্যন্ত পৌঁছানো এক ক্ষুধার্ত শিশুর জন্যও নিরাপদ নয় ফিলিস্তিনের ভূমি।

অ্যাগুইলার সাহসিক স্বীকারোক্তি বিশ্ব বিবেককে জাগ্রত করবে—এমনটাই প্রত্যাশা করছেন মানবাধিকারের পক্ষের সক্রিয় কর্মীরা।

সূত্র: মিডল ইস্ট আই

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ