রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২২ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে ক্ষোভ, প্রতিবাদ জানালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ বিবাহ একটি ইবাদত, এর পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি নারী অধিকার কমিশনের সুপারিশে আলেম প্রজন্ম-২৪-এর আপত্তি  জুলাই-আগস্টের ত্যাগের পরও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাইনি: মির্জা ফখরুল নারীবিষয়ক সুপারিশগুলো কোরআন-হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: জামায়াত আমির ‘১৬ বছরের জঞ্জাল দূর না করে নির্বাচন দিলে সমস্যা সমাধান হবে না’  প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা সরকারি নিবন্ধন পেল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কলরব’ ‘সিরাহ মিউজিয়াম’ চালু করছেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী মহাসমাবেশ সফল করতে যেসব কর্মসূচি নিয়েছে হেফাজত

হযরত আবু রকর রা. সম্পর্কে ৫ তথ্য

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইসমাঈল আযহার

হযরত আবু বকরের নাম ছিল আবদুল্লাহ। উপাধি ছিল সিদ্দিক ও আতিক আর উপনাম ছিল আবু বকর। তাঁর পিতার নাম ছিল উসমান ও আবু কুহাফা। মায়ের নাম সালমা  উপনাম উম্মুল খায়ের। ষষ্ঠতম উর্ধ পুরুষ মুররা পর্যন্ত গিয়ে বংশধারা নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উর্ধতন পুরুষের সাথে মিলিত হয়েছে তাঁর বংশ।

ইসলামের প্রথম খলিফা এ সাহাবির সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য না জানালেই নয়। তিনি খেলাফত পরিচালনা করেন ১৩ রবিউল আওয়ার ১১ হিজরি থেকে জুমাদাল উখরা ১৩ হিজরি পর্যন্ত। ৬৩২ খ্রিস্টাব্দ থেকে আগস্ট ৬৩৪ পর্যন্ত।

১. কখনো মদ পান করেননি আবু বকর রা.।

জাহেলি যুগে যখন মদের আয়াত নাযেল হয়নি। অন্যান্য সাহাবিরা সকলে মদ পান করতেন। আরবদের মেহমানদারীর একটা বিষেয় অংশ ছিল খাবারের পর মদ পান করানো। এর দ্বারা মেজবান খুব খুশি হত। এবং মদ পান না করালে মেহমান মনে ভাল অপ্যায়ণ হয়নি তাদের। কিন্তু আবু বকর রা. তখনো মদ পান করতেন না।
২. জাহেলী যুগে রক্তপনের সমুদয় অর্থ-সম্পদ তার কাছে রাখা হত।

বুরাইশদের মধ্যে অত্যন্ত সম্মানিত ব্যক্তি ছিলেন হযরত আবু বকর রা.। জ্ঞান, অভিজ্ঞতা, বুদ্ধিমত্তা ও সৎ চরিত্রের কারণে মক্কার মানুষেরা তাকে অত্যন্ত প্রিয়জন বলে মনে করতেন ও ভালবাসতেন। একারণে জাহেলী যুগেও মক্কার মানুষেরা তার নিকট রক্তপণের সমুদয় অর্থ গচ্ছিত রাখতেন।

৩. আরবের লোকদের নসবনামা সর্বাপেক্ষা বেশি জানতেন।

তিনি আরবের লোকদের নসবনামা অন্য সকলের চেয়ে বেশি জানতেন। নসবনামা সম্পর্কে হযরত আবু বকর রা. এর মতো আর কেউ ছিল না। কাব্যেও তার ভাল দখল ছিল। তিনি যেমন ছিলেন সুবক্তা তেমন সুভাষীও ছিলেন। বক্তিতায় তার প্রতিভা ছিল অসামান্য।

৪. আবু বকর রা. ছিলেন রাসূল স. এর ছোটবেলর বন্ধু।

রাসূল স. এর সঙ্গে শৈশব থেকেই বন্ধুত্ব ছিল হযরত আবু বকর রা. এর। অধিকাংশ সফরে সফরে তিনি থাকতেন রাসূল স. এর সঙ্গি। নবুওয়াত লাভের পর নবী স. বন্ধু-বান্ধব ও সৎলোকদের নিকট ইসলামের দাওয়াত দিতে শুরু করলে বয়স্ক স্বাধীন লোকদের মধ্যে সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহন করেন হযরত আবু বকর রা.।

তিনি দ্বিধাহীন চিত্তে মেরাজের ঘটনা সত্যায়ণ করেন এবং সিদ্দিকে আকবার উপাধিতে ভূষিত হন।

৫. ইসলাম গ্রহনের সঙ্গে সঙ্গে তিনি ইসলামের প্রচার প্রসারের কাজে একান্ত চেষ্টা শুরু করেন।হযরত আবু বকর রা. ইসলাম গ্রহন করা মাত্রই দ্বীনের প্রচার প্রসারের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তার প্রচেষ্টায় সম্ভ্রান্ত কুরাইশদের মধ্যে বেশ কিছু মানুষ ইসলাম গ্রহন করেন।

তাদের মধ্যে ছিলেন হযরত উসমান রা. হযরত যুবায়ের রা. হযরত তালহা রা. হযরত সা‘দ রা. হযরত আবদুর রহমান ইবনে আওফ রা. প্রমুখের মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।

‘বেড়া এখন ইসলামি চেতনার ধান খেয়ে ফেলছে’


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ