রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২২ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে ক্ষোভ, প্রতিবাদ জানালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ বিবাহ একটি ইবাদত, এর পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি নারী অধিকার কমিশনের সুপারিশে আলেম প্রজন্ম-২৪-এর আপত্তি  জুলাই-আগস্টের ত্যাগের পরও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাইনি: মির্জা ফখরুল নারীবিষয়ক সুপারিশগুলো কোরআন-হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: জামায়াত আমির ‘১৬ বছরের জঞ্জাল দূর না করে নির্বাচন দিলে সমস্যা সমাধান হবে না’  প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা সরকারি নিবন্ধন পেল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কলরব’ ‘সিরাহ মিউজিয়াম’ চালু করছেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী মহাসমাবেশ সফল করতে যেসব কর্মসূচি নিয়েছে হেফাজত

সন্তান জন্মের পর পালনীয় ১১টি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: সুন্নতের ওপর চলতে পারা প্রতিটি মুসলমানের জন্য সৌভাগ্যের। রাসুলুল্লাহ সা.-এর আদর্শই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম আদর্শ। প্রিয়নবী সা. জীবনের প্রতিটি মুহূর্তের জন্য দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। কিভাবে খেতে হবে, কিভাবে শুতে হবে, কিভাবে চলতে হবে; সব শিখিয়ে গেছেন।

সন্তান জন্ম হওয়া মানুষের জন্য জীবনের সবচেয়ে আনন্দের একটি মুহূর্ত। একটি সন্তানই মা-বাবার জীবনের সবচেয়ে বড় সাফল্য। তারওপর সন্তানকে সঠিকভাবে মানুষ করতে পারা, সুন্দরভাবে লালন-পালন করতে পারা আরো বেশি সৌভাগ্যের।

রাসুলুল্লাহ সা. আমাদের জন্য সেই সৌভাগ্যের পথটিও বাতলিয়ে দিয়েছেন। হাদিসের কিতাবগুলোতে সন্তান জন্মের পরবর্তী সুন্নতগুলোর কথা খুব স্পষ্টভাবে বর্ণিত আছে। এখানে ১১টি সুন্নত তুলে দেয়া হলো:

১। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর তার ডান কানে আযান এবং বাম কানে একামতের শব্দগুলাে উচ্চারণ করা। –তিরমিযী, আবু দাউদ) ২। বাচ্চার বয়স সাত দিন হওয়ার পর তার একটি ভাল নাম রাখবে। (আবু দাউদ)।

৩। সন্তান জন্মের সাত দিনের মাথায় আকীকা করা। (আবু দাউদ)। সপ্তম দিনে না হলে চৌদ্দ দিনে, না হলে একুশ দিনের মাথায় আকীকা করা যেতে পারে।

৪। সাতদিনের মাথায় শিশুর মাথা মুণ্ডন করে সেই চুলের ওজন পরিমাণ রৌপ্য সদকা করা সুন্নত। (তিরমিযী)

৫। মাথা মুণ্ডন করার পর মাথায় জাফরান লাগানাে সুন্নত। -(আবু দাউদ)

৬। ছেলে সন্তানের জন্য দু'টি ছাগল এবং মেয়ে সন্তানের জন্য একটি ছাগল দ্বারা আকীকা করা। -(তিরমিযী, ইবনে মাজাহ)।

৭। কাচা আকীকার গােশত বা রান্না করা গোশত বণ্টন করা। বেহেশতী জেওর)

৮। আকীকার গােশত দাদা-দাদী, নানা-নানী সবাইকেই খেতে দেয়া। -(বেহেশতী জেওর)

৯। কোনাে একজন বুযুর্গ ব্যক্তির দ্বারা খেজুর (খােরমা) চিবিয়ে শিশুর মুখে দেওয়া এবং দোয়া করা । -(বুখারী)

১০। শিশুর বয়স সাত বছর হলে তাকে নামায এবং দীনের অন্যান্য প্রয়ােজনীয় শিক্ষা দেয়া।

১১। শিশুর বয়স দশ বছর হয়ে গেলে শাসন করে হলেও তাকে নামাযে অভ্যস্ত কো। (মেশকাত)।

শিশুদের ধর্মীয় শিক্ষা দেয়া এবং আমল-আখলাকে অভ্যস্ত করার ব্যাপারে শৈথিল্য প্রদর্শন করতে দেখা যায়। অনেক মা-বাবা মনে করেন, বড় হলে এসব ত্রুটি-বিচ্যুতি এমনিতেই সেরে যাবে। কিন্তু এমনটি কিছুতেই করা উচিত নয় আদর্শ মা-বাবার জন্য।

দুপুরের খাবারের পর কায়লুলা করা কি সুন্নত?

এসএস


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ