আওয়ার ইসলাম: যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারন্যাশনাল ওমেন অব কারেজ (সাহসী নারী) অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন রোহিঙ্গা নারী রাজিয়া সুলতানা। তার জন্মভূমি মিয়ানমারে নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলিমদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করার জন্য এই অভিজাত পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে তাকে।
এ বছর এ পুরস্কারের জন্য রাজিয়াসহ বিশ্বের ১০ জন নারীকে বাছাই করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আইনজীবী, শিক্ষক ও মানবাধিকার সংগঠক রাজিয়াকে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর।
১৯৭৩ সালে জাতিগত রোহিঙ্গা পিতামাতার ঔরসে মিয়ানমারের মংডুতে জন্মগ্রহণ করেন রাজিয়া সুলতানা। মিয়ানমারে নিজের সম্প্রদায় ও সব মানুষের জন্য মানবাধিকারের সেবায় তিনি নিজের ক্যারিয়ারকে উৎসর্গ করেছেন।
‘ফ্রি রোহিঙ্গা কোয়ালিশন’ নামের একটি সংগঠনের সমন্বয়কারী রাজিয়া সুলতানা। এই সংগঠনের আয়োজনে সম্প্রতি নিউ ইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে একটি সেমিনার হয়।
পুরস্কারপ্রাপ্তি সম্পর্কে রাজিয়া সুলতানা বলেন, এটি শুধু আমি নই, আমার পুরো সম্প্রদায়ের জন্য একটি বিরাট অর্জন। কারণ আমরা এর মাধ্যমে দীর্ঘদিন লড়াই করে আসা রোহিঙ্গা পরিচয়েই এ পুরস্কার পেতে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, আমরা নিরাপত্তা ও পূর্ণ নাগরিক অধিকার নিয়ে নিজ দেশে ফিরতে চাই। আমরা উদ্বাস্তু শিবিরে বসবাস করতে চাই না।
আইনজীবী, শিক্ষিকা ও মানবাধিকার বিষয়ক পরামর্শক রাজিয়া রোহিঙ্গাদের জন্য, বিশেষ করে নারী ও কন্যাশিশুদের জন্য ২০১৪ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে মানসিক আঘাত, গণধর্ষণ, রোহিঙ্গা নারী ও বালিকাদের পাচার থেকে রক্ষা করা নিয়ে কাজ করছেন রাজিয়া।
তথ্যসূত্র: আনাদোলু নিউজ