আওয়ার ইসলাম: নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গণধর্ষণ মামলার আসামি রুহুলের আইনজীবী মুহা. আশেক-ই-রসুল ও হলফকারীর (তদবিরকার) মুহা. জহিরুদ্দিনেরর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আজ বুধবার (২৭ মার্চ) আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ রায়। আর অপর পক্ষে ছিলেন রুহুল আমিনের জামিন আবেদনকারী আইনজীবী মুহা. আশেক-ই-রসুল।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
তাদের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
বুধবার রুল জারির পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘কোন একটি জামিন আবেদনে মামলার সমস্ত তথ্য দিতে হয়। কিন্তু রুহুল আমিনের জামিন আবেদনের মধ্যে সমস্ত তথ্য দেওয়া হয়নি। আর এই মামলায় যে কয়েকজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ছিল, তাও দেওয়া হয়নি।
২২ ধারায় দেওয়া ওই নারীর জবানবন্দিও জামিন আবেদনে দেওয়া হয়নি। এগুলো তখন দেওয়া হলে হাইকোর্ট মূল ঘটনা জানতে পারত। তখন জামিন আদেশ হয়ত হতো না। কিন্তু এ আইনজীবী তথ্যগুলো গোপন করে প্রথমে জামিন আদেশ নেন। কিন্তু পরে হাইকোর্ট সে জামিন আদেশ প্রত্যাহার (রিকল) করেন।’
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের পর এক গৃহবধূ গণধর্ষণের মামলার আসামি রুহুল আমিনকে দেওয়া জামিন আদেশ গত শনিবার প্রত্যাহার করে নেন হাইকোর্ট।