সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৭ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ৩০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
গ্রেপ্তার এড়াতে বাস পাল্টায়, গন্ধে ১৪ কেজি গাঁজাসহ ধরা খেল তরুণী দুপুরের মধ্যে সাত অঞ্চলে ঝড়ের আভাস সত্তর হাজার কালেমা পড়লে কি মাগফিরাত পাওয়া যায়? ঢাবির হল রিডিংরুমে বসছে এসি, সংস্কার হবে ক্যান্টিনও: ডাকসু জিএস ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা মাদরাসা ছাত্রী, অভিযুক্ত জামায়াতকর্মী গ্রেপ্তার. ইসলামকে একটি বার সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ শায়খে চরমোনাইয়ের বক্তা আমির হামজার বক্তব্য মনগড়া ও অসত্য: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত পরিবারকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে বিআরটিএ নিজ খরচে দৃষ্টিনন্দন মসজিদ নির্মাণ করলেন তামিম ইকবাল ফজলুর রহমানের মন্তব্যের প্রতিবাদ ডাকসু নেতাদের

সাইয়্যিদুল মুফাস্‌সিরিন হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা.

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

উবায়দুর রহমান।।

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. ৬১৯ খ্রিস্টাব্দে, রাসূল সা. এর হিজরতের তিন বছর পূর্বে মক্কায় শিআবে আবি তালিব-এ জন্ম গ্রহণ করেন।

তিনি কুরাইশ বংশের হাশেমি শাখার সন্তান। রাসূল সা. এর সর্বকনিষ্ঠ চাচা আব্বাসের জ্যেষ্ঠ ছেলে। তাঁর মাতা ছিলেন উম্মুল ফজল লুবাবা বিনতে আল হারিস। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস এর জননী হিজরতের পূর্বেই ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন বিধায় তকে আশৈশব মুসলিম হিসেবে গণ্য করা হয়।

জন্মের পরই তাঁকে রাসূল সা. এর নিকট নিয়ে আাসা হলে তিনি শিশু আবদুল্লাহর মুখে একটু থুথু মোবারক দিয়ে তাহ্‌নিক করেন এবং এই বলে দোয়া করেন - اللَّهُمَّ فَقِّهْهُ فِي الدِّينِ وَعَلِّمْهُ التَّأْوِيلَ অর্থাৎ- হে আল্লাহ! আপনি তাকে দ্বীনের প্রজ্ঞা দান করুন এবং তাকে তাফসিরের অগাধ জ্ঞান দান করুন!

রাসূল সা. এর এই দোয়ার বরকতের ফলেই মাত্র অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই তিনি অগাধ পাণ্ডিত্যের অধিকারী হোন। যার ফলশ্রুতিতে তাঁর সম্পর্কে উমর রা. বলতেন هو فتى الكهول তিনি বয়সে নবীন আর জ্ঞানে প্রবীণ। প্রায় সকল সাহাবীই কুরআনের তাফসিরের ক্ষেত্রে তাঁর মুখাপেক্ষী ছিলেন।

ইসলামের চতুর্থ খলিফা আলি রা তাঁর সম্পর্কে বলেন, কুরআনের তাফসীর বর্ণনার সময় মনে হয় যেন তিনি (ইবনে আব্বাস) একটি স্বচ্ছ পর্দার অন্তরাল হতে অদৃশ্য বস্তুসমূহ প্রত্যক্ষ করছেন।

যুগশ্রেষ্ঠ ফকীহ সাহাবী হযরত ইবনে মাসউদ রা. বলতেন, ইনি কুরআনের সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষ্যকার। যাইহোক, তিনি ছিলেন কুরআনের তাফসীরের ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানীয় মুফাস্‌সির। মুসলিম বিশ্বে তাকেই রইসুল মুফাস্‌সিরিন বা সাইয়্যিদুল মুফাস্‌সিরিন বলা হয়। পৃথিবীর সকল মুফাসসির তাঁর মুখাপেক্ষী । তাঁর রচিত বিখ্যাত তাফসির গ্রন্থটি তাফসিরে ইবনে আব্বাস নামে পরিচিত।
তিনি ছিলেন হিবরুল উম্মাহ্‌ অর্থাৎ মহাজ্ঞানী।

কারণ যে কোন দ্বীনি জিজ্ঞাসার জবাব তিনি এমন প্রজ্ঞার সাথে উপস্থাপন করতেন, যাতে করে কোন অস্পষ্ট বিষয় খুব সহজেই স্পষ্ট হতো। হাদিস বর্ণনার ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন সর্বাধিক হাদিস বর্ণনাকারী সাহাবীদের অন্যতম। আল্লামা আইনির মতে, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস এর বর্ণিত হাদিসের সংখ্যা ১৬৬০ টি । কারো মতে ২৬৬০ টি। এই মহান সাহাবী হযরত জিবরাইল আঃ কে তাঁর জীবনে দুইবার দর্শন করে অবশেষে ৬৮৭ খ্রিষ্টাব্দে তায়েফে ইন্তিকাল করেন ।

লেখক: শিক্ষার্থী, ঢাকা আলিয়া

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ