সোমবার, ০৫ মে ২০২৫ ।। ২২ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৭ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
৫ই মে ঐতিহাসিক গণহত্যা দিবস: আমাদের চোখ খুলবে কবে? স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশ ‘২৫ মার্চের কালরাতকেও হার মানিয়েছে শাপলা চত্বরের গণহত্যা’ কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দিতে হবে : স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্কার কমিশন সংক্ষুব্ধ মুফতি ফয়জুল করীম, আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা মেয়র পদ নিয়ে মুফতি ফয়জুল করীমের মামলা খারিজ ফরিদপুরের ভাঙ্গায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষ: নিহত-১, আহত-৪০ চট্টগ্রামে সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ ৫ মে শাপলা চত্বরে গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে: ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ

ইভ্যালির কার্যালয় বন্ধ: উদ্বিগ্ন গ্রাহকরা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ হলেও বন্ধ রাখা হয়েছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির কার্যালয়টি। রাজধানীর ধানমন্ডির সোবহানবাগ এলাকায় ইভ্যালির কার্যালয়ে নোটিশে টানিয়ে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে যে কোনো বিষয় জানতে হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হলেও সেখানে ফোন করেও কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করছেন গ্রাহকেরা।

এতে উদ্বিগ্ন হয়ে গ্রাহকরা প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে ভিড় করছেন। কিন্তু সেখানে এসেও কারো সাথে কথা বলতে পারছেন না। ফলে লগ্নি করা অর্থ আর পণ্য পেতে তাদের উৎকণ্ঠা আরও বাড়ছে।

ইভ্যালির কার্যালয়ে টানানো নোটিশে বলা হয়েছে, ইভ্যালির সশরীর গ্রাহকসেবা বন্ধ থাকবে। অনলাইন গ্রাহকসেবা ও পণ্য সরবরাহ চালু থাকবে। অবশ্য সে নোটিশে কারও স্বাক্ষর ও তারিখ নেই। অবশ্য করোনার কারণে কর্মীদের একটা অংশ বাসা থেকে কাজ করার ফলে কার্যালয়টি বন্ধ আছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল। তিনি বলেন, সকাল ৮টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত কলসেন্টার খোলা আছে।

এদিকে ইভ্যালির কাছ থেকে পণ্যের দাম না পাওয়ার কথা জানিয়ে ইতোমধ্যে পোশাকের ব্র্যান্ড জেন্টল পার্ক, ট্রেন্ডস, আর্টিসানসহ আরও বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান সম্পর্ক ছিন্ন করছে। এসব প্রতিষ্ঠান তাদের গ্রাহককে খুদে বার্তার মাধ্যমে জানিয়ে দিচ্ছে, ইভ্যালির দেওয়া ভাউচারে তারা আর পণ্য সরবরাহ করবে না।

এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন গ্রাহকরা। ফয়সাল হোসেন নামে এক গ্রাহক বলেন, গত চার মাসে তিনি প্রায় ৮ লাখ টাকার মতো পুঁজি লগ্নি করেছেন। এর আগেও কিছু পণ্য পেয়েছেন, ফলে এবার লগ্নি বেশি করেছেন। এখন যদি প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে বেশ বিপাকে পড়ে যাবেন তিনি।

সার্বিক বিষয়ে ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল গণমাধ্যমকে বলেন, পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থাও চালু আছে। দু’একটি ঘটনা ছাড়া গ্রাহকরা সময়মতো তাদের পণ্য হাতে পাচ্ছেন। কল সেন্টারে ফোন করে না পাওয়ার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রতিদিন অনেক ফোন আসে। কেউ হয়তো একটা নির্দিষ্ট সময়ে ব্যস্ত পেয়েছেন। তাই বলে এটাকে তো না পাওয়া বলা যায় না।

সম্প্রতি কার্ডের মাধ্যমে ইভ্যালিসহ আরও বেশ কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছে ব্র্যাক, সিটিসহ বেশ কটি ব্যাংক। আর ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়মনীতির মধ্যে আনতে গত ৪ জুলাই প্রথমবারের মতো ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা জারি করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ওই দিন থেকেই তা কার্যকর। এতে বলা হয়, ক্রেতা-বিক্রেতা একই শহরে অবস্থান করলে ক্রয় আদেশ দেওয়ার ৫ দিনের মধ্যে, ভিন্ন শহরে থাকলে ১০ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহ করতে হবে। পণ্য সরবরাহে ব্যর্থ হলে, মূল্য পরিশোধের ১০ দিনের মধ্যে ক্রেতার পুরো টাকা ফেরত দিতে হবে।

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ