আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ফের দ্রুত সময়ের মধ্যে চালু করতে কাজ করছে কাতার। এ ক্ষেত্রে তুরস্কের প্রযুক্তিগত সহায়তা নিচ্ছে তালেবান।
আজ বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছেন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুর রহমান আল থানি।
দেশটির রাজধানী দোহায় ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাবের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ। এ সময় তিনি বলেন, বিমানবন্দরটি সচলে আমরা অনেক পরিশ্রম করে যাচ্ছি। দ্রুতই এটি পরিচালনা করা সম্ভব হবে বলে আমরা আশাবাদী। কয়েক দিনের মধ্যেই এ ক্ষেত্রে ভাল খবর আসতে পারে।
কাতারের কর্মকর্তারা জানান, প্রথমদিকে মানবিক সাহায্য পাঠানোর জন্য বিমান চলাচল করবে। সেইসঙ্গে চলবে অপেক্ষমাণ হাজারো মানুষকে উদ্ধারের কাজ। এরপর পর্যায়ক্রমে স্বাভাবিকভাবে চলবে বিমান চলাচল, চলবে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট।
তালেবানের সঙ্গে আলোচনা করার প্রয়োজন আছে উল্লেখ করে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিকট ভবিষ্যতে তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়ার পরিকল্পনা নেই। তাদের মুখের কথায় নয়, কার্যক্রম দেখে বিচার করবে যুক্তরাজ্য।
এদিকে, তালেবান জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে কাবুল বিমানবন্দর দিয়ে আভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল চালু করা সম্ভব হবে। তবে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলের জন্য কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে।
তালেবানের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করে আফগানিস্তান থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিতে থাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একের পর এলাকা ও প্রদেশ দখল করতে থাকে তালেবান। এর মধ্যেই গত ১৫ আগস্ট তারা কাবুল দখলে নিলে পতন ঘটে ভারত ও পশ্চিমা সমর্থিত আশরাফ ঘানি সরকরের।
এমতাবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র তাদের সকল সেনাকে ডেডলাইনের মধ্যেই (৩১ আগস্ট) কাবুল থেকে সরিয়ে নেয়। ফলে পুরো আফগানিস্তান এখন তালেবানের নিয়ন্ত্রণে। স্বাধীনতা উদযাপনের পাশাপাশি নতুন সরকার গঠনেরও দ্বারপ্রান্তে রয়েছে তারা।
-এটি