সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৭ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ৩০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
গ্রেপ্তার এড়াতে বাস পাল্টায়, গন্ধে ১৪ কেজি গাঁজাসহ ধরা খেল তরুণী দুপুরের মধ্যে সাত অঞ্চলে ঝড়ের আভাস সত্তর হাজার কালেমা পড়লে কি মাগফিরাত পাওয়া যায়? ঢাবির হল রিডিংরুমে বসছে এসি, সংস্কার হবে ক্যান্টিনও: ডাকসু জিএস ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা মাদরাসা ছাত্রী, অভিযুক্ত জামায়াতকর্মী গ্রেপ্তার. ইসলামকে একটি বার সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ শায়খে চরমোনাইয়ের বক্তা আমির হামজার বক্তব্য মনগড়া ও অসত্য: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত পরিবারকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে বিআরটিএ নিজ খরচে দৃষ্টিনন্দন মসজিদ নির্মাণ করলেন তামিম ইকবাল ফজলুর রহমানের মন্তব্যের প্রতিবাদ ডাকসু নেতাদের

একটি ভুল পদক্ষেপ হলেই পরমাণু যুদ্ধে নিশ্চিহ্ন হবে সব: জাতিসংঘ মহাসচিব

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বিশ্ব এখন এমন একটি অবস্থায় রয়েছে যে, কোনো ভুল পদক্ষেপ হলেই পরমাণু যুদ্ধে সব নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।

এমন সতর্কতার কথাই জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরাঁ। তিনি উদাহরণ হিসেবে বিশেষ করে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা এবং মধ্যপ্রাচ্যের কথা উল্লেখ করেন। এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা।

খবরে জানানো হয়, সোমবার জাতিসংঘে দেয়া এক ভাষণে এই সতর্করতার কথা তুলে ধরেন অ্যান্তনিও। ‘নন প্রোলিফারেশন ট্রিটি’ বা এনপিটি স্বাক্ষরিত হওয়ার ৫০ বছর পার হয়ে গেছে। সেটি পুনরায় পর্যালোচনা করতেই একটি সম্মেলন ডাকা হয় জাতিসংঘে।

কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পরে ১৯৬৮ সালে পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধে এই চুক্তি হয়। সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের নাকের ডগায় থাকা কিউবাতে ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপন করেছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন। ওই ঘটনার মাধ্যমেই বিশ্ব পারমাণবিক যুদ্ধের সবচেয়ে কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। এনপিটি চুক্তির লক্ষ্য আরো বেশিসংখ্যক দেশে পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার রোধ এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে সম্পূর্ণ পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের লক্ষ্যে কাজ করা।

পাঁচটি বৃহত্তম পারমাণবিক শক্তিসহ বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশ এনপিটি-তে স্বাক্ষর করেছে। কিন্তু এখনও বিশ্বের চারটি রাষ্ট্র স্বাক্ষর করতে রাজি নয়। এরা হচ্ছে পাকিস্তান, ইসরাইল, উত্তর কোরিয়া এবং ভারত।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, এমন এক সময় আমরা এই সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছি যখন বিশ্ব স্নায়ু যুদ্ধের পর পারমানবিক যুদ্ধের সবথেকে বড় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এই সম্মেলনে আমরা কীভাবে নিশ্চিত দুর্যোগ থেকে বাঁচতে পারি এবং মানব জাতিকে পরমাণুমুক্ত বিশ্বের রাস্তা দেখাতে পারি তা নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ পাবো।

তিনি বলেন, এখনও যে পরমাণু যুদ্ধ হয়নি সে জন্য আমরা খুবই ভাগ্যবান। ক্রমবর্ধমান বিশ্বব্যাপী উত্তেজনার মধ্যে, মানবজাতি পারমাণবিক ধ্বংস থেকে কেবল একটি ভুল বোঝাবুঝি কিংবা একটি ভুল হিসাবের দূরত্বে অবস্থান করছে। অ্যান্তনিও যুক্ত করেন, বিশ্ব এখন পর্যন্ত পারমাণবিক বিপর্যয় এড়ানোর ভাগ্য উপভোগ করছে যা দীর্ঘস্থায়ী না-ও হতে পারে। তিনি বিশ্বকে এ ধরনের সমস্ত অস্ত্র নির্মূল করার জন্য নতুন করে চাপ দেয়ার আহ্বান জানান।

মহাসচিব সতর্ক করে দিয়ে বলেন, আন্তর্জাতিক উত্তেজনাগুলো নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। উদাহরণ হিসেবে ইউক্রেন, কোরীয় উপদ্বীপ এবং মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনার দিকে ইঙ্গিত করেন তিনি।

সম্প্রতি ইউক্রেনে আক্রমণ করার পর নিজেদের পারমাণবিক বাহিনীকে উচ্চ সতর্কতায় রাখেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এনপিটি সম্মেলনে একটি লিখিত বক্তব্য পাঠান সেই পুতিন। এতে তিনি বলেন, পরমাণু যুদ্ধে কেউ বিজয়ী হতে পারবে না এবং এ অস্ত্র কখনোই ব্যবহৃত হওয়া উচিত নয়।

যদিও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন রাশিয়ার নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন, রাশিয়া এবং অন্যদের কাছ থেকে তার ভবিষ্যৎ সুরক্ষার আশ্বাস পাওয়ার পর ১৯৯৪ সালে নিজের সোভিয়েত যুগের পারমাণবিক অস্ত্র হস্তান্তর করেছিল ইউক্রেন। কিন্তু রাশিয়া এরপরেও ইউক্রেন আক্রমণ করলো। এখন যেসব দেশ মনে করে তার সুরক্ষার জন্য পরমাণু বোমা দরকার তারা রাশিয়ার আক্রমণ থেকে কী বার্তা পেলো? সেটি হচ্ছে সম্ভাব্য সবথেকে খারাপ বার্তা।

বিবিসি জানিয়েছে, এখন ঘোষিত পারমাণবিক শক্তিধর নয়টি রাষ্ট্রের কাছে প্রায় ১৩ হাজার এ ধরনের অস্ত্র রয়েছে বলে মনে করা হয়। আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে মজুদকৃত আনুমানিক ৬০ হাজার থেকে যা অনেক কম।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ