রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৯ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
জমিয়তের নবনির্বাচিত সভাপতি আল্লামা উবায়দুল্লাহ ফারুকের বর্ণাঢ্য জীবন হজের ফ্লাইট শুরু মঙ্গলবার কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনীর তল্লাশি অভিযান আরও জোরদার; পাহালগামে অভিযানের পঞ্চম দিন জামিয়া শরইয়্যাহ মালিবাগের শায়খুল হাদীস মাওলানা জাফর আহমদ সাহেব রোড এক্সিডেন্ট করেছেন। আল্লামা আমিনুল হক রহ.: জীবনরেখা ও কর্মধারা ফ্যাসিবাদের বিচারকদেরও বিচার হতে হবে: রিজভী ৩ মের মহাসমাবেশ সফল করুন : হেফাজতে ইসলাম ফিলিস্তিন ও কাশ্মীর ইস্যুতে উম্মাহর  ঐক্য জরুরি: নেজাম ইসলাম পার্টি নবনির্বাচিত আমির ও মহাসচিবকে অভিনন্দন জানালো ছাত্র আন্দোলন বিশ্ব মেধা সম্পদ দিবস: মেধার হোক সঠিক ব্যবহার

গণপিটুনির নামে মানুষ খুনের লাইসেন্স দেওয়া যায় না : হাইকোর্ট

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: গণপিটুনির নামে মধ্যযুগীয় বর্বরতায় মানুষ হত্যার লাইসেন্স দেওয়া হবে সমাজের যেকোনো মানুষের জন্য আতঙ্ক ও অনিরাপত্তার কারণ। প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত না হলে ঘটনার পুনরাবৃত্তি এবং আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা রোধ করা সম্ভব হবে না বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।

রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ পর্যবেক্ষণ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমেদ ভুঁইয়া।

২০১৯ সালের ২০ জুলাই সকালে রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় মেয়েকে ভর্তি করতে স্থানীয় একটি স্কুলে যান তাসলিমা বেগম রেণু (৪০)। এ সময় তাকে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে হত্যা করা হয়। এ হত্যা মামলা অতিরিক্ত মহানগর ষষ্ঠ দায়রা আদালতে বিচারাধীন।

রেণু হত্যা মামলায় সুবিচার নিশ্চিত করতে রোববার মনিটরিংয়ের নির্দেশ দেন আদালত।

এ মামলার সুবিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মামলা চলাকালে সাক্ষীদের যথারীতি ও যথাসময়ে উপস্থিতি নিশ্চিত করাসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ ও তদারকির জন্য কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে আদালত রুল জারি করেছেন। আগামী আট সপ্তাহের মধ্যে ঢাকার জেলা প্রশাসককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

একই সঙ্গে নিয়মিত তদারকি ও পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট আদালতের পিপি, তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, ভিকটিম পালিয়ে যাচ্ছিলেন না। তার হেফাজতে কোনো শিশুকে পাওয়া যায়নি। সে সময় অভিভাবকদের থেকে কেউ সন্তান হারানোর অভিযোগ না করা সত্ত্বেও আসামিরা বেআইনি জনতা গঠন করেন এবং উসকানিমূলক স্লোগান দিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার কক্ষে বেআইনি অনুপ্রবেশ করে এবং ভিকটিমকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে নিয়ে আসে।

কোনোরূপ অপরাধ না করা সত্ত্বেও তাকে বলপূর্বক আটক করে এবং আত্মরক্ষায় অক্ষম এ অসহায় মায়ের বাঁচার আকুতিকে উপেক্ষা করে তার শরীরে নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে উপর্যুপরি ও ক্রমাগত এমনভাবে আঘাত করেন, যার উদ্দেশ্য ছিল তার মৃত্যু নিশ্চিত করা। ভিকটিমের মৃত্যু নিশ্চিত করার অভিন্ন উদ্দেশ্য ঘটনাস্থলেই উদ্ভব হওয়ার প্রমাণ রয়েছে।

ঘটনার দিন রাতে রেণুর বোনের ছেলে নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ৫০০ জনকে আসামি করা হয়। পরে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে গণপিটুনিতে জড়িত কয়েকজনকে শনাক্তের পর গ্রেফতার করে পুলিশ।

আদালত মামলার প্রধান অভিযুক্ত হৃদয় ওরফে ইব্রাহিমের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড চলাকালে হৃদয় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। একইদিন রেণুকে পিটিয়ে হত্যার আগে ‘ছেলেধরা’ গুজব সৃষ্টিকারী রিয়া খাতুনও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। হৃদয় ও রিয়া বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। জাফর হোসেন নামের আরেক আসামিও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে তিনিও বর্তমানে কারাগারে।

-এএ


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ