আজ সোমবার (১১ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বিডিআর কল্যাণ পরিষদ, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এবং বাংলাদেশ গঠনতান্ত্রিক আন্দোলনের সমন্বয়করা দাবি জানিয়েছেন—৫ আগস্ট প্রকাশিত জুলাই ঘোষণাপত্রে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসের ৫টি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় অবিলম্বে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
বক্তারা বলেন, ঘোষণাপত্র দেশনির্মাণ ও গণ-সংগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল হলেও এতে কয়েকটি বড় আন্দোলন ও রাষ্ট্রীয় সহিংসতার অধ্যায় উপেক্ষিত হয়েছে, যা জাতীয় স্মৃতি ও ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।
তাদের প্রস্তাবিত অন্তর্ভুক্তির দাবিকৃত ঘটনাগুলো হলো—
১. ১৯৪৭ সালের দেশভাগ ও মানবিক বিপর্যয়
২. বিডিআর হত্যাকাণ্ড (২০০৯)
৩. শাপলা গণহত্যা (২০১৩)
৪. কোটা সংস্কার আন্দোলন (২০১৮)
৫. নিরাপদ সড়ক আন্দোলন (২০১৮)
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, ঘোষণাপত্রে অতীত সংগ্রাম ও শহীদদের স্মৃতিচারণ থাকলেও এই পাঁচটি অধ্যায় উপেক্ষিত হয়েছে। পাশাপাশি, এতে নেই ভবিষ্যতের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ—যেমন নির্বাচনের সময়সূচি, আইনি ও সাংবিধানিক সংস্কারের পরিকল্পনা, প্রশাসনিক কাঠামো সংস্কারের প্রস্তাব, এবং অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতার সীমা ও জবাবদিহিতা বিষয়ক স্পষ্ট নির্দেশনা।
বক্তারা সতর্ক করে বলেন, “জুলাই ঘোষণাপত্রকে পূর্ণাঙ্গ ও নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য করতে হলে এই পাঁচটি ঘটনাকে গণ-সংগ্রামের ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। অন্যথায় এটি জনগণের নয়, শাসকের দলিল হয়ে থাকবে।”
বাংলাদেশ গঠনতান্ত্রিক আন্দোলনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, “আমরা ইতিহাসকে বিকৃত হতে দেব না। আমাদের লক্ষ্য—সাম্য, ন্যায় ও মুক্তি—একই নথিতে প্রতিফলিত হবে।”
এমএইচ/