মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট ২০২৫ ।। ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১৮ সফর ১৪৪৭


পাকিস্তানের স্টুডেন্ট ভিসা সংকটে কওমি শিক্ষার্থীরা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

|| নাঈমুর রহমান নাঈম ||

বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসার বহু শিক্ষার্থী উচ্চতর ইসলামি শিক্ষা অর্জনের জন্য পাকিস্তানের মাদ্রাসাগুলোতে পড়াশোনায় আগ্রহী। তবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্ক খারাপ থাকায় এ সুযোগ সীমিত ছিল। 

সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নতির দিকে গেলেও শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন এখনো বাস্তবায়িত হচ্ছে না। মূল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভিসা সংকট।

শিক্ষার্থীরা আওয়ার ইসলামকে জানান, তারা পাকিস্তান সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (Ministry of Interior) দেওয়া সকল নির্দেশনা মেনে ভিসার জন্য আবেদন করলেও সরকারের অনুমোদন মিলছে না। বিভিন্ন স্বীকৃত মাদ্রাসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (NOC) ও অ্যাডমিশন লেটার পাওয়ার পরও তাদের আবেদন ঝুলিয়ে রাখা হচ্ছে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমদ মারুফ ২৬ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য ট্যুরিস্ট, বিজনেস ও স্টাডি ভিসা বিনামূল্যে প্রদান করা হবে। তবে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এটা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। 

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের স্টাডি ভিসার আবেদন গ্রহণ করা হলেও তা দীর্ঘদিন ধরে প্রসেসিংয়ে রাখা হচ্ছে এবং কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে অনেক শিক্ষার্থী ট্যুরিস্ট ভিসায় পাকিস্তানে গমন করছেন, কিন্তু বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন হয়রানির শিকার হচ্ছেন এবং অনেককে দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।

অপরদিকে, জেনারেল ব্যাকগ্রাউন্ডের শিক্ষার্থীদের তুলনামূলক সহজে স্টুডেন্ট ভিসা দেওয়া হচ্ছে। এদিকে কওমি ঘরানার শিক্ষার্থীরা সকল নির্দেশনা মেনে আবেদন করেও ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছেন না।

শিক্ষার্থীরা মনে করেন, এই জটিলতা নিরসনে বাংলাদেশ সরকারকে কূটনৈতিক পর্যায়ে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় বসা উচিত। পাশাপাশি বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানি হাইকমিশনকে তাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে জোরালো আহ্বান জানানো উচিত।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ