মুহাম্মদ মিজানুর রহমান
বৃষ্টি প্রকৃতির এক অপার সৌন্দর্য ও রহস্যময় উপহার। গ্রীষ্মের দাবদাহের পরে হঠাৎ এক ফোঁটা বৃষ্টি যেন প্রকৃতিকে এনে দেয় প্রশান্তির পরশ। মাটির গন্ধ, পাতার নাচ, ছাতা হাতে দৌড়ানো শিশুদের উচ্ছ্বাস—সব মিলিয়ে বৃষ্টি এক অনুভূতির নাম। শুধু প্রকৃতিকে নয়, মানুষের মনেও বৃষ্টি আনে নরম আবেগ, স্মৃতির জোয়ার। কখনও তা প্রেমের, কখনও একাকিত্বের, আবার কখনও নতুন শুরুর প্রতীক। বাংলার ঋতুচক্রে বর্ষাকাল এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, আর সেই বর্ষার প্রাণই হলো বৃষ্টি। বৃষ্টি দেখলে অনেকেরেই ভালো লাগে, শান্তির লাগে। বৃষ্টি দেখলে কেন এত শান্তি লাগে?” — এই অনুভূতির পেছনে রয়েছে মনোবিজ্ঞান, স্মৃতি ও প্রকৃতির নিঃশব্দ স্পর্শ।
১. শব্দের স্নিগ্ধতা :
বৃষ্টির টুপটাপ শব্দ একধরনের "white noise", যা মস্তিষ্ককে বিশ্রাম দেয়। এটি স্ট্রেস কমায়, মনকে শান্ত করে এবং ঘুম সহজ করে তোলে।
২. মস্তিষ্কের সাড়া:
বৃষ্টি দেখা বা শোনা আমাদের ব্রেনে সেরোটোনিন হরমোন নিঃসরণ করে—যা ভালো লাগা, প্রশান্তি ও মানসিক ভারসাম্য আনে।
৩. স্মৃতি ও নস্টালজিয়া:
বৃষ্টি আমাদের শৈশব, ভালোবাসা বা নিরব সন্ধ্যার স্মৃতি ফিরিয়ে আনে। এমন আবেগ-ভরা স্মৃতি আমাদের আবেগকে কোমল করে দেয়।
৪. প্রকৃতির সান্নিধ্য:
বৃষ্টি মানেই সবুজ প্রকৃতির জেগে ওঠা। গাছপালা ধুয়ে সজীব হয়, বাতাস ঠান্ডা হয়—সব মিলিয়ে মন ও শরীর সতেজ বোধ করে।
৫. ধীর গতি ও মননচর্চা:
বৃষ্টির সময় চারপাশ একটু স্তব্ধ হয়। যানবাহনের কোলাহল কমে যায়। তখন নিজের সঙ্গে সময় কাটানো যায়, যা মানসিক শান্তির অন্যতম উপায়।
বৃষ্টি শুধু পানি নয়, এটি মন, স্মৃতি ও প্রকৃতির এক মিশ্র অনুভব। তাইতো অনেকে বলে, “বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর, মনটা চায় থমকে যাক এই মুহূর্তে।”
এমএইচ/