সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫ ।। ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১০ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য-সমঝোতা কতদূর? গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী উত্তর-এর সমাবেশ  আদর্শিক বিরোধে গণ-অভ্যুত্থানে কারো অবদান অস্বীকার করা উচিত নয় : মাহফুজ আলম ইসলামি চার রাজনৈতিক দলের লিয়াঁজো কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত ‘স্বৈরতন্ত্র ও স্বৈরতান্ত্রিক বন্দোবস্তের স্থায়ী বিলোপের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’ মোবাইলে লাউডস্পিকারে কথা বলা; ইসলাম কি বলে: শায়খ আহমদুল্লাহ জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনতার বিস্ফোরণ: রাষ্ট্রপতি মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে ড. শোয়াইব আহমদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা সব ধরনের দূষণ রোধে আলেম-ওলামার সহযোগিতা চায় সরকার

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জানাজা কিভাবে হয়েছিল?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

উত্তর : ইসলামী রাষ্ট্রে জুমআ, ঈদ ও জানাজার নামাযের ইমামতীর প্রধান হকদার হলেন রাষ্ট্রপ্রাধান। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইন্তেকাল মানে ইসলামী রাষ্ট্র রাষ্ট্রপ্রধানের ইন্তেকাল। আর নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইন্তেকালের পর যেহেতু সাথে সাথেই কোন রাষ্ট্রপ্রধান নির্বাচিত করা সম্ভব হয়নি। তাই বড় জামাত করার সুযোগ ছিল না। এ কারণে পৃথক পৃথক ইমামের ইমামতীতে ছোট ছোট জামাত হয়েছে।

ইমাম তিরমিজী রহ. সাহাবী হযরত সালেম বিন উবায়েদ রাঃ থেকে নিম্নবর্ণিত বর্ণনা উল্লেখ করেন। যাতে হযরত সালেম বিন উবায়েদ রাঃ হযরত আবু বকর সিদ্দিক রা. কে যখন রাসূল সা. এর ওফাতের খবর দিলেন, তখন-

আবু বকর সিদ্দিক রা. আমাকে বললেন, তুমি আমার সাথে আস। তিনি যখন আসলেন তখন লোকেরা রাসূল সা. এর চারপাশে ভীড় করেছিল। তিনি লোকদেরকে বললেন, তোমরা আমাকে একটু রাস্তা দাও। লোকেরা রাস্তা দিল। তিনি ভেতরে গেলেন, নত হয়ে দেখলেন এবং রাসূল সা. এর কপালে চুমু খেলেন। তারপর আয়াত পড়লেন, إِنَّكَ مَيِّتٌ وَإِنَّهُمْ مَيِّتُونَ তথা “নিশ্চয় তুমিও ইন্তেকাল করবে, এবং তারাও ইন্তেকাল করবে”।

লোকেরা জিজ্ঞাসা করল, হে আল্লাহর রাসূলের সাথী! রাসূল সা. কি ইন্তেকাল করেছেন? তিনি জবাবে বললেন, হ্যাঁ। তখন লোকদের বিশ্বাস হল। তারপর সাহাবায়ে কেরাম আবু বকর রা.-কে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূলের বন্ধু! রাসূল-এর জানাজার নামাজ কি পড়া হবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। জিজ্ঞাসা করা হল, কিভাবে? তিনি বললেন, এভাবে যে, এক এক জামাত প্রবেশ করবে এবং জানাজা পড়ে বেরিয়ে আসবে। তারপর অন্য জামাত প্রবেশ করবে। এভাবে পৃথক পৃথকভাবে প্রত্যেকেই রাসূল সা. এর উপর আলাদা আলাদাভাবে জানাজা নামাজ পড়ে নিবে]। সাহাবাগাণ আবু বকর রা.কে জিজ্ঞাসা করলেন, তাঁকে কি দাফন করা হবে? তিনি বললেন, অবশ্যই। জিজ্ঞাসা করা হল, কোথায়? তিনি বললেন, যেখানে আল্লাহ তাআলা তাঁর রূহ কবজ করেছেন সেখানেই। কেননা, আল্লাহ পাক নিশ্চয় তাঁকে এমন স্থানে মৃত্যু দান করেছেন যে স্থানটি পবিত্র। লোকদের বিশ্বাস হয়ে গেল যে, তিনি যা কিছু বলছেন তা সবই ঠিক। তারপর রাসূল সা. এর পরিবার ও বংশীয় লোকদেরকে আবু বকর রা. গোসল করানোর নির্দেশ দিলেন। সূত্র : আহলে হক্ব মিডিয়া বাংলা ।

এম আই/

 


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ