বুধবার, ০৬ আগস্ট ২০২৫ ।। ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১২ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আলেম-ওলামার ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা মৌলভীবাজারে ইসলামপন্থীদের ঐক্য ভাবনা শীর্ষক সেমিনার মজলিসের কেন্দ্রীয় ঘোষণা অনুযায়ী নেত্রকোনায় বিজয় র‍্যালী জুলাই ঘোষণাপত্র একপক্ষীয় রাজনৈতিক প্রবন্ধ: মাওলানা আজিজুল হক ভোলায় জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ইসলামী আন্দোলনের সমাবেশ ও গণমিছিল  ইন্তিফাদা বাংলাদেশের আয়োজনে গণজমায়েত অনুষ্ঠিত  সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল হবে: ডা. তাহের গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে উত্তরায় বিজয় র‍্যালি অনুষ্ঠিত ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে কোরআন নিকেতন মাদ্রাসায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত গত এক বছরে অনেক সংকট ও সম্ভাবনার মধ্য দিয়ে পার করেছি : প্রধান উপদেষ্টা

আজান শোনামাত্র তেলাওয়াত বন্ধ করে জবাব দেওয়া জরুরি কি?


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

মুফতি যুবাইর মাহমুদ রাহমানি

ধরুন, আপনি কুরআনে পাক তেলাওয়াত করছেন; এমন সময় মুয়াজ্জিন সাহেব আজান দেওয়া আরম্ভ করলেন। এ সময় কি আপনার জন্য তেলাওয়াত বন্ধ করে মৌখিকভাবে আজানের জবাব দেওয়া জরুরি?

এর উত্তর হচ্ছে, না । এ সময় তেলাওয়াত বন্ধ করে মৌখিকভাবে আজানের জবাব দেওয়া জরুরি নয়।

এ প্রসঙ্গে দারুল উলুম দেওবন্দের সাবেক শাইখুল হাদিস ও সদরুল মুদাররিসীন আল্লামা মুফতি সাইদ আহমাদ পালনপুরি রহিমাহুল্লাহ লিখেন,
যদি কোন ব্যক্তি পূর্ব থেকে কোন দীনি কাজে মশগুল থাকে, তবে আজানের জবাব দেওয়ার জন্য উক্ত দীনি কাজ বন্ধ করা জরুরি নয়। যেমন কেউ তেলাওয়াত করছে অথবা সবক পাঠদান করা হচ্ছে; এমন সময় আজান শুরু হয়ে যায়। তখন আজানের জবাব দেওয়ার জন্য তেলাওয়াত এবং সবক মওকুফ করা জরুরি নয়।

কেননা, আজানের জবাব দেওয়া দীনি কাজ। অপরদিকে তেলাওয়াত ও সবকও দীনি কাজ। আর এক দীনি কাজের জন্য অন্য দীনি কাজ বন্ধ করা জরুরি নয়। এমনিভাবে ফজরের সুন্নাতও দীনি কাজ। এবং আজানের জবাব দেওয়াও দীনি কাজ। নবি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আজানের জবাব না দিয়ে ফজরের সুন্নাত পড়ায় মশগুল থাকতেন। হাঁ, যদি দুনিয়াবি আলাপচারিতায় মগ্ন থেকে থাকে, তখন তা বন্ধ করে আজানের জবাব দেওয়া উচিত।

উল্লেখ্য, আজান চলাকালীন অন্য কোন দীনি কাজ শুরু করা জায়েজ। কারণ, নবি করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আজানের আরম্ভ হওয়ার পরই ফজরের সুন্নাত শুরু করতেন।

(তুহফাতুল আলমায়ি ২/৩১৬)

লেখক : মুহাদ্দিস, জামিআ হোসাইনিয়া মদিনাতুল উলুম (ভোলা) ও পরিচালক, রাহমানিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার (চরফ্যাশন,ভোলা)

হুআ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ