মুসলমানরা পড়ার জাতি। কোরআনের প্রথম কথাই হলো ‘পড়ো’। তাই দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত জ্ঞান অর্জন করতে বলা হয়েছে। আর ধর্মীয় শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করে অসংখ্য আয়াত ও হাদিস বর্ণিত হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে এবং যাদের ইলম দান করা হয়েছে, আল্লাহ তাদের মর্যাদা বহুগুণ বাড়িয়ে দেবেন।’ (সুরা মুজাদালা, আয়াত : ১১)
রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি সর্বোত্তম, যে কোরআন শিক্ষা করে এবং শিক্ষা দেয়।’ (বুখারি, হাদিস : ৫০২৭)
দ্বিনি জ্ঞান আহরণ মানুষকে জান্নাতের পথে নিয়ে যায়। হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি জ্ঞান অর্জনের জন্য কোনো পথ অবলম্বন করে, আল্লাহ তার জান্নাতের পথ সহজ করে দেন।’ (মুসলিম, হাদিস : ২৬৯৯)
রাসুলুল্লাহ (সা.) আরো বলেন, ‘যে জ্ঞানের অনুসন্ধানে বের হয়, সে ফিরে আসা পর্যন্ত আল্লাহর রাস্তায় থাকে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৬৪৭)
তবে দ্বিনি ইলমের ওই ফজিলত লাভের জন্য শর্ত হলো ‘ইখলাস’ তথা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ইলম অর্জন করা। পার্থিব কোনো উদ্দেশ্যে দ্বিনি ইলম অর্জন করা হলে তার পরিণাম হবে ভয়াবহ। হাদিস শরিফে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি দুনিয়াবি স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে এমন ইলম শিখল, যা কেবল আল্লাহর জন্যই শেখা হয়, সে কিয়ামতের দিন জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না।’ (আবু দাউদ : হাদিস : ৩৬৬৪)
কোরআন ও হাদিসের উদ্ধৃতি থেকে স্পষ্টভাবে জানা যায়, আমৃত্যু ধর্মীয় জ্ঞান আহরণ করতে হবে। কেননা ইবাদত করতে হয় মৃত্যু অবধি। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমার মৃত্যু উপস্থিত হওয়া পর্যন্ত তুমি তোমার রবের ইবাদত করো।’ (সুরা হিজর, আয়াত : ৯৯)
আর ইবাদতের জন্য সংশ্লিষ্ট জ্ঞান আহরণ করা জরুরি। কাজেই জ্ঞান আহরণ করতে হবে আমৃত্যু।
এনএইচ/