বুধবার, ০৬ আগস্ট ২০২৫ ।। ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১২ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আলেম-ওলামার ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা মৌলভীবাজারে ইসলামপন্থীদের ঐক্য ভাবনা শীর্ষক সেমিনার মজলিসের কেন্দ্রীয় ঘোষণা অনুযায়ী নেত্রকোনায় বিজয় র‍্যালী জুলাই ঘোষণাপত্র একপক্ষীয় রাজনৈতিক প্রবন্ধ: মাওলানা আজিজুল হক ভোলায় জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ইসলামী আন্দোলনের সমাবেশ ও গণমিছিল  ইন্তিফাদা বাংলাদেশের আয়োজনে গণজমায়েত অনুষ্ঠিত  সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল হবে: ডা. তাহের গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে উত্তরায় বিজয় র‍্যালি অনুষ্ঠিত ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে কোরআন নিকেতন মাদ্রাসায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত গত এক বছরে অনেক সংকট ও সম্ভাবনার মধ্য দিয়ে পার করেছি : প্রধান উপদেষ্টা

যেসব খাবার নবীজির অপছন্দ ছিল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

মুহাম্মদ মিজানুর রহমান

হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর জীবন ছিল সাদেকী জিন্দেগির এক উৎকৃষ্ট নমুনা। খাওয়া-দাওয়ায়ও তিনি ছিলেন খুবই সংযমী। এক বেলা খেতেন তো আল্লাহর শোকর আদায় করতেন। আর অন্য বেলায় খাবার না থাকলে সবর করতেন। সবর এবং শোকরের এক অসামান্য জিন্দেগি ছিল মহান এই মানুষটির। খাবার হালাল হলেই তিনি সেটা খেতেন । খাবারে ছিল না কোনো বাছবিচার! তবে এর মধ্যেও এমন কিছু খাবার রয়েছে হালাল হওয়ার পরেও নবীজি সেসব খাবার খেতে অপছন্দ করতেন। বিরত থাকতেন সেগুলো খাওয়া থেকেও।

অতিরিক্ত গরম খাবার

নবীজি কখনোই অতিরিক্ত গরম খাবার মুখে দিতেন না। কারণ, গরম খাবার তার কাছে অপছন্দনীয় ছিল। ধোঁয়া উঠা কোনো খাবার তার সামনে এলে তিনি সেটা তৎক্ষণাত খাওয়া থেকে বিরত থাকতেন। খাবারটি ঠান্ডা হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তিনি অপেক্ষা করতেন। পুরোপুরি ঠান্ডা হলেই তিনি সেই খাবার খেতেন।  এক হাদীসে আছে, রাসুল (স.) কখনোই গরম খাবার খেতেন না, বলতেন গরম খাবার বরকতহীন। 

কাঁচা রসুন কাঁচা পেঁয়াজ

কাঁচা রসুন ও কাঁচা পেঁয়াজ হালাল হলেও নবীজি এই দুটি খাবার খাওয়া থেকে সবসময় বিরত থাকতেন। কারণ, কাঁচা রসুন কাঁচা পেঁয়াজ মুখ থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়। তাই এই খাবার দুটো নিজেতো খেতেনই না, অন্যদেরও খেতে নিরুৎসাহিত করতেন। বিশেষ করে কাঁচা রসুন ও কাঁচা পেঁয়াজ খেয়ে নবীজি মসজিদের নিকটবর্তী হতে নিষেধ করেছেন। কাঁচা রসুন ও কাঁচা পেঁয়াজের দুর্গন্ধের কারণে ফেরেশতারা কষ্ট পায়।

দব্বের গোশত

দব্ব বা গুইসাপ সদৃশ প্রাণিটির গোশত বিভিন্ন মাযহাবের দৃষ্টিতে হালাল হলেও নবীজির কাছে দব্বের গোশত অপছন্দনীয় ছিল। তিনি কখনোই এই গোশত খাননি। নবীজি বলতেন, দব্বের গোশত খাওয়া হারাম নয়, কিন্তু এটা যেহেতু আমাদের অঞ্চলে নাই তাই এই গোশতটা আমার অপছন্দনীয়।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ