||নাজমুল হাসান||
আধুনিক বিশ্বে প্রযুক্তির অভাবনীয় বিকাশের ফলে মানুষের জীবনযাত্রা যেমন সহজ হয়েছে, তেমনি নতুন করে চিন্তার খোরাকও তৈরি হয়েছে। প্রযুক্তির এই সুযোগকে ইসলাম প্রচারে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামপ্রেমী চিন্তাবিদরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইন্টারনেট, সোশ্যাল মিডিয়া, স্মার্টফোন, ব্লগ, ইউটিউবসহ প্রযুক্তির বিভিন্ন মাধ্যম এখন ইসলামের শান্তির বাণী বিশ্বব্যাপী পৌঁছে দেওয়ার সবচেয়ে কার্যকর মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে ইসলামের সঠিক মর্মবাণী পৌঁছে দিতে প্রযুক্তিকে মুমিনদের অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার কথা জোর দিয়ে বলছেন ইসলামি ব্যক্তিত্বরা।
ইসলামি গবেষক ও বক্তারা মনে করেন, ইসলামের প্রচার শুধু মসজিদ, মাদরাসা বা মাহফিলের মঞ্চে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না; বরং অনলাইন জগতে যেভাবে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানো হচ্ছে, তার মোকাবেলায় প্রযুক্তিনির্ভর ইসলামের দাওয়াহ শক্তিশালী করতে হবে।
প্রযুক্তিকে ইসলামের খেদমতে লাগানোর কিছু উদ্যোগ তুলে ধরা হচ্ছে: ইউটিউব বা ফেসবুকে ছোট ছোট ইসলামী শিক্ষামূলক ভিডিও তৈরি করা। ব্লগ ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ইসলামি জ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়া। ইসলামি অ্যাপ তৈরি করে নামাজের সময়সূচি, কোরআন তেলাওয়াত ও হাদিস সহজলভ্য করা। অনলাইন ভিত্তিক ইসলামী কোর্স ও সেমিনার আয়োজন করা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তি রোধে নির্ভরযোগ্য ইসলামি তথ্য প্রচার করা।
এ প্রসঙ্গে আলেম-ওলামারা বলছেন, প্রযুক্তিকে উপেক্ষা করে চললে পিছিয়ে পড়তে হবে। তারা মনে করেন, দুনিয়ার এই আধুনিক সুযোগ-সুবিধা আল্লাহর দেয়া নেয়ামত। এর সঠিক ব্যবহার করে ইসলামের সুমহান শিক্ষা বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে দেওয়াই মুমিনের কর্তব্য।
তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা জানান, বর্তমানে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ অনলাইনে সক্রিয়। তাই দাওয়াহ বা ইসলামের বাণী প্রচারে প্রযুক্তিকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে এর সুফল ব্যাপক হবে। একই সঙ্গে প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধেও সচেতনতা জরুরি।
ইসলামি সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকেও বিভিন্ন সময়ে প্রযুক্তিনির্ভর দাওয়াহর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। বিশেষ করে তরুণ সমাজকে প্রযুক্তির ইতিবাচক ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, সময়ের দাবি অনুযায়ী প্রযুক্তিকে মুমিনের সঙ্গী হিসেবে গ্রহণ করে ইসলাম প্রচারে নতুন মাত্রা যোগ করা এখন অত্যন্ত জরুরি।
এনএইচ/