সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫ ।। ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১০ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য-সমঝোতা কতদূর? গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী উত্তর-এর সমাবেশ  আদর্শিক বিরোধে গণ-অভ্যুত্থানে কারো অবদান অস্বীকার করা উচিত নয় : মাহফুজ আলম ইসলামি চার রাজনৈতিক দলের লিয়াঁজো কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত ‘স্বৈরতন্ত্র ও স্বৈরতান্ত্রিক বন্দোবস্তের স্থায়ী বিলোপের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’ মোবাইলে লাউডস্পিকারে কথা বলা; ইসলাম কি বলে: শায়খ আহমদুল্লাহ জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনতার বিস্ফোরণ: রাষ্ট্রপতি মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে ড. শোয়াইব আহমদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা সব ধরনের দূষণ রোধে আলেম-ওলামার সহযোগিতা চায় সরকার

রুশ নও-মুসলিমার ঈমানি শক্তিতে ক্যান্সার জয়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মস্কোর ফ্যাশন জগত থেকে মৃত্যুর সঙ্গে আজীবন লড়াই — এমন নাটকীয় পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে রাশিয়ান নারী লিওদমিলা আনোফরিভা ইসলামে দীক্ষিত হন এবং প্রতিষ্ঠা করেন “মিলা ফর আফ্রিকা” নামের একটি দাতব্য সংস্থা, যা আফ্রিকার দরিদ্র শিশুদের, বিশেষত সেনেগালের শিশুদের সহায়তা করে।

আল জাজিরা-এর সাথে সাক্ষাৎকারে লিওদমিলা বলেন, “আমি ২০২১ সালের এপ্রিলে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করি। সেসময় আমার পরিবার বিস্মিত হলেও পরে তারা বিষয়টি বুঝতে পেরেছিল। আমি ইস্তাম্বুলের আয়াসোফিয়া মসজিদে গিয়ে ইসলাম গ্রহণ করি এবং এরপর আমার জীবন পুরোপুরি বদলে যায়।”

ক্যান্সার জয়ী এই নারী ঈমানি বিশ্বাস দিয়ে ক্যান্সার পরাজিত করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। তিনি বলেন, “ডাক্তাররা আমাকে জানিয়েছিলেন, আমার শরীরে ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়েছে এবং আমি মাত্র দুই মাস বাঁচব। তবে আমি বলেছিলাম, 'আমি বাঁচব!'” তার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে, আল্লাহ-র প্রতি ঈমান ও তার পরিবারের সমর্থন তাকে এই কঠিন সময় পার করতে সহায়তা করেছে।

তিনি আরও বলেন, “এই রোগ আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। এখন আমি বুঝতে পারি, জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো শক্তি ও ঈমান। আমি চেষ্টা করি, আমার মতো সব রোগীকে এই বার্তাটি দিতে— 'ঈমানই মূল শক্তি।'”

ক্যান্সার থেকে বাঁচার পর, লিওদমিলা তার যন্ত্রণাকে একটি মানবিক প্রকল্পে রূপান্তরিত করেন। তিনি প্রতিষ্ঠা করেন "মিলা ফর আফ্রিকা" নামক একটি সংস্থা, যা দুটি বিশেষ গোষ্ঠীর প্রতি মনোযোগ দেয়:

১/ ক্যান্সারে আক্রান্ত দরিদ্র শিশু

২/ আলবিনিজম (অ্যালবিনিজম) রোগে আক্রান্ত শিশুরা, যারা জিনগত কারণে গায়ের রং হারায়

এই সংস্থার মাধ্যমে তিনি শিশুদের জন্য চিকিৎসা ও সমাজিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করেন। লিওদমিলা বলেন, “মানসিকতা পরিবর্তন একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া, এবং এই শিশুদের কণ্ঠস্বর বিশ্বজুড়ে শোনাতে হলে মিডিয়া ও অর্থায়ন প্রয়োজন।”

এছাড়া, তিনি আরও যোগ করেন, “আল্লাহর উপর ঈমান রাখুন, দয়ালু হোন, ভালো কাজ করুন। কারণ, কেবল সৎকর্ম ও মানবসেবার মাধ্যমে আমরা একসাথে পৃথিবীকে বদলে দিতে পারি।”

সূত্র: আল জাজিরা

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ