সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫ ।। ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১০ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে ড. শোয়াইব আহমদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা সব ধরনের দূষণ রোধে আলেম-ওলামার সহযোগিতা চায় সরকার খুনিদের ভয়ে কোনো আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে যেতে পারি না ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিবের সঙ্গে ইরানি প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ  ‘ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে আলেম-ওলামার সক্রিয় ভূমিকা ছিল’ ‘বসিলা আন্দোলন জমানোর পিছনে আমাদের মাদ্রাসার বড় ভূমিকা ছিল’ ১১ মাসে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত ১২১, আহত ৫ হাজারের বেশি: টিআইবি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি নিয়ে সরকারের নতুন পরিকল্পনা চাকরি পাওয়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের তথ্য যাচাই করছে সরকার : ফারুক-ই-আজম

রাতে কখন খাবার খাবেন? রাসুল (সা.)-এর নির্দেশনা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

খাবার আমাদের জীবনের অপরিহার্য অংশ। নিয়মিত খাবার গ্রহণের মাধ্যমেই আমরা সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারি। তবে অনেক সময় আমরা খাবারের বিষয়ে অবহেলা করি, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়। ইসলাম এই বিষয়ে আমাদের সতর্ক করেছে এবং সুস্থ জীবনযাপনের জন্য পরিষ্কার নির্দেশনাও দিয়েছে। এমনকি হাদিসে বলা হয়েছে, নিয়ম মেনে খাওয়াও একটি ইবাদত, যার জন্য আল্লাহ সওয়াব দান করেন।

আমাদের সমাজে কেউ তিন বেলা, কেউ দুই বেলা খাবার খান। সকালের নাশতা কেউ ভারী, কেউ হালকা খান। তবে প্রায় সবাই দুপুর ও রাতে ভারী খাবার গ্রহণ করেন। ইসলামেও রাতের খাবারকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, “রাতের আহার ত্যাগ কোরো না, যদিও তা এক মুঠো খেজুরই হয়। কারণ রাতের আহার না করা মানুষকে দ্রুত বার্ধক্যের দিকে ঠেলে দেয়।” (ইবনে মাজাহ: ৩৩৫৫, তিরমিজি: ১৮৫৬)

তাহলে, রাতের খাবারের সঠিক সময় কখন? বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, রাতের খাবার গ্রহণের সবচেয়ে ভালো সময় হলো রাতের প্রথম ভাগে—সন্ধ্যার পরপরই। তারা বলেন, সাধারণত রাত ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে খাবার খাওয়া উত্তম। এরপর ভারী কিছু খাওয়াকে নিরুৎসাহিত করা হয়।

অনেক গবেষক মনে করেন, ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত দুই ঘণ্টা আগে খাবার খাওয়া উচিত। এতে খাবার সহজে হজম হয়, গ্যাস্ট্রিক, বুক জ্বালা, কিংবা অনিদ্রার সমস্যা দেখা দেয় না। কারণ খেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই ঘুমাতে গেলে খাবার পুরোপুরি হজম হতে পারে না, যা দেহের জন্য ক্ষতিকর।

রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর শিক্ষা

এই বিষয়গুলো আমরা রাসুল (সা.)-এর জীবন থেকেও শিখতে পারি। অনেক হাদিসে রয়েছে, তিনি এশার নামাজের আগে কিংবা ঠিক পরে রাতের খাবার খেতে উৎসাহ দিতেন।

ইমাম বুখারি (রহ.) তার গ্রন্থে একটি অধ্যায়ে উল্লেখ করেন, “যখন এশার নামাজের ইকামত হয় এবং খাবার প্রস্তুত থাকে, তখন আগে খাবার খেয়ে নেওয়া উচিত।” (সহিহ বুখারি: ৫০৬৯)

সুস্থতা ও সুন্নাহর আলোকে, রাতের খাবার সন্ধ্যার পর পরই খাওয়া সর্বোত্তম। এতে শরীর যেমন সুস্থ থাকে, তেমনি সুন্নতের উপর আমলও হয়।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ