মুহাম্মদ মিজানুর রহমান
হলুদ আমাদের রান্নাঘরের পরিচিত একটি মসলা, যা শুধু খাবারকে রঙিনই করে না, বরং তা লুকিয়ে রাখে অসংখ্য ওষুধি গুণ। হাজার বছর ধরে আয়ুর্বেদিক ও ইউনানী চিকিৎসায় হলুদ ব্যবহার হয়ে আসছে নানা রোগ প্রতিরোধে।
হলুদের উপকারিতা:
১. প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক:
হলুদের প্রধান উপাদান ‘কারকিউমিন’ শক্তিশালী অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ভাইরাল। ঠান্ডা, সর্দি, গলা ব্যথায় গরম দুধের সঙ্গে হলুদ উপকারী।
২. প্রদাহ ও ব্যথা কমাতে সহায়ক:
গাঁটে ব্যথা, আর্থরাইটিস বা যেকোনো ধরণের প্রদাহে হলুদের নিয়মিত সেবনে উপশম ঘটে।
৩. রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:
হলুদ শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে সক্রিয় করে তোলে। নিয়মিত সেবনে নানা সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা গড়ে তোলে।
৪. হজমে সাহায্য করে:
হলুদ হজম শক্তি বাড়ায় এবং গ্যাস, বদহজম কমাতে কার্যকর।
৫. চর্মরোগের প্রাকৃতিক ওষুধ:
হলুদে রয়েছে অ্যান্টিসেপ্টিক উপাদান, যা ব্রণ, একজিমা, ফুসকুড়িতে উপশম দেয়। মুখে হলুদ বাটা লাগালে ত্বক উজ্জ্বল হয়।
৬. ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক:
গবেষণায় দেখা গেছে, হলুদের কারকিউমিন উপাদান কোষে অস্বাভাবিক বৃদ্ধিকে দমন করতে সাহায্য করে।
৭. হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসে উপকারী:
হলুদ রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে।
সতর্কতা: হলুদ যতই উপকারী হোক, অতিরিক্ত সেবনে ক্ষতি হতে পারে। গ্যাস্ট্রিকের রোগী বা গর্ভবতী নারীদের ডাক্তারের পরামর্শে গ্রহণ করা উচিত।
হলুদ শুধু রঙ বা স্বাদের জন্য নয়, বরং এটি একটি প্রাকৃতিক ওষুধ। প্রতিদিনের জীবনে পরিমিত পরিমাণে হলুদের ব্যবহার শরীর ও মনের জন্য হতে পারে অত্যন্ত উপকারী।
এমএইচ/