মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট ২০২৫ ।। ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১৮ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
বাংলাদেশকে সমর্থন দেওয়ার অঙ্গীকার মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর মৌলভীবাজার-০৪ আসনের জমিয়তের প্রার্থী শেখ নূরে আলম হামিদী খাগড়াছড়িতে নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ, ভোগান্তি চরমে কুয়াকাটার ৫ কোটি টাকার মেরিন ড্রাইভ সড়ক: অপরিকল্পিত ও অনিয়মের অভিযোগ হকের উপর অবিচল থাকলে বিজয় অবশ্যম্ভাবী: মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী প্রবাসীকে উদ্ধার করতে গিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান কারাগারে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি সিন্ধু নদ চুক্তি স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারে আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশ, পাকিস্তানের স্বাগত ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা গাজীপুরে ককটেল ও নাশকতার সরঞ্জামসহ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ৪ কর্মী আটক

রকমারিও বিক্রি করবে না জাফর ইকবালের বই

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
রকমারিতে জাফর ইকবালের বই নট অ্যাভেইলেবল-ছবি: সংগৃহীত

এবার দেশের সবচেয়ে বড় অনলাইনভিত্তিক বইয়ের দোকান রকমারি.কমও শিশুসাহিত্যিক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের বই বিক্রি করবে না বলে জানা গেছে।

সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে তার একটি বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তার বই বয়কটের ডাক দেওয়ার পর রকমারিতে জাফর ইকবালের বই নট অ্যাভেইলেবল দেখা যায়।

রকমারি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমাদের সাইট থেকে উনার বই নট অ্যাভেইলেবল করে দেয়া হয়েছে।’

এদিকে প্রগতি বইঘরও শিশুসাহিত্যিক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের বই বিক্রি না করার ঘোষণা দিয়েছে। এর আগে, এই একই ইস্যুতে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের বই বিক্রি না করার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বই কেনার প্লাটফর্ম ‘বুকস অব বেঙ্গল’। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ৭৭ হাজার অনুসারী রয়েছে তাদের।

ফেসবুক পোস্টে বুকস অব বেঙ্গল জানিয়েছে, অনেকের মতো আমরাও একটা সময় মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখা পড়ে বড় হয়েছি। অনেকের মতো আমাদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি আগ্রহ তৈরি করেছিলেন তিনি। কিন্তু আজ কোটা আন্দোলন নিয়ে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে উনি যে ধরনের বক্তব্য প্রদান করেছেন, সেটি কোনোভাবেই আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।

প্রসঙ্গত, জাফর ইকবালের লেখা দুই পাতার একটি চিঠির একাংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এতে তিনি লিখেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমার বিশ্ববিদ্যালয়, আমার প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়। তবে আমি মনে হয়, আর কোনোদিন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে চাইব না। ছাত্রছাত্রীদের দেখলেই মনে হবে, এরাই হয়ত সেই ‘রাজাকার’। আর যে কয়দিন বেঁচে আছি, আমি কোনো রাজাকারের মুখ দেখতে চাই না। একটাই তো জীবন, সেই জীবনে আবার কেন নতুন করে রাজাকারদের দেখতে হবে?

মূলত, এই মন্তব্য ঘিরেই নেটিজেনদের মধ্যে সমালোচনা তৈরি হয়েছে।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ