মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট ২০২৫ ।। ২৮ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১৮ সফর ১৪৪৭


লালমাই পাহাড়: ইতিহাস-প্রকৃতি-সংস্কৃতির অনন্য এক সৌন্দর্য

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

কুমিল্লার পশ্চিমে ছায়াঘেরা সবুজ পাহাড়—লালমাই। একদিকে ইতিহাস, অন্যদিকে প্রাকৃতিক শোভা—দুই মিলে এটি আজ হয়ে উঠেছে পর্যটনপ্রেমীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।

লালমাই পাহাড় কুমিল্লা সদর দক্ষিণ ও লালমাই উপজেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে অবস্থিত। প্রায় ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এ পাহাড়শ্রেণি ইতিহাস, পুরাকীর্তি ও জীববৈচিত্র্যে ভরপুর। এখানেই মিলেছে প্রাচীন বৌদ্ধ সভ্যতার নিদর্শন, ছড়িয়ে আছে প্রাচীন পাথরের খণ্ড, ধ্বংসপ্রাপ্ত মন্দির, স্তূপ আর প্রাচীন ইট নির্মিত কাঠামোর ছাপ। ধারণা করা হয়, এটি ৮ম-১০ম শতাব্দীর কোনও প্রাচীন জনপদের অংশ ছিল।

প্রকৃতির সৌন্দর্য: লালমাই পাহাড়ের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। বর্ষার দিনে পাহাড় সবুজে মোড়ানো থাকে, পাখির কলতান আর বাতাসে গাছের পাতার নৃত্য যেন এক সজীবতা এনে দেয়। পাহাড় বেয়ে উপরে উঠলে চারপাশের গ্রাম্য দৃশ্যপট চোখে পড়ে—যা শহরের ক্লান্ত জীবনে এক শান্তির পরশ।

তবে এই পাহাড় এখন নানা হুমকির মুখে। পাহাড় কেটে ঘরবাড়ি নির্মাণ, বৃক্ষ নিধন এবং অপরিকল্পিত রাস্তা সম্প্রসারণ প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট করছে। পরিবেশবিদদের মতে, দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে এই ঐতিহাসিক ও প্রাকৃতিক নিদর্শন অচিরেই হারিয়ে যেতে পারে।

পর্যটন সম্ভাবনা: যতটা ঐতিহ্যবাহী, তার চেয়েও অনেক বেশি সম্ভাবনাময় লালমাই পাহাড়। পরিকল্পিতভাবে একে পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করা গেলে এটি যেমন আঞ্চলিক অর্থনীতিকে চাঙা করবে, তেমনি সুরক্ষিত থাকবে এর প্রাকৃতিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হালিম বলেন, “আমরা চাই সরকার এখানে সুশৃঙ্খলভাবে পর্যটন ব্যবস্থা গড়ে তুলুক। কিন্তু পাহাড় কাটা বন্ধ না হলে আগামী প্রজন্মের জন্য কিছুই থাকবে না।”

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ