সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫ ।। ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১০ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য-সমঝোতা কতদূর? গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী উত্তর-এর সমাবেশ  আদর্শিক বিরোধে গণ-অভ্যুত্থানে কারো অবদান অস্বীকার করা উচিত নয় : মাহফুজ আলম ইসলামি চার রাজনৈতিক দলের লিয়াঁজো কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত ‘স্বৈরতন্ত্র ও স্বৈরতান্ত্রিক বন্দোবস্তের স্থায়ী বিলোপের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’ মোবাইলে লাউডস্পিকারে কথা বলা; ইসলাম কি বলে: শায়খ আহমদুল্লাহ জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনতার বিস্ফোরণ: রাষ্ট্রপতি মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে ড. শোয়াইব আহমদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা সব ধরনের দূষণ রোধে আলেম-ওলামার সহযোগিতা চায় সরকার

এ বছর ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইতালিতে ১২ হাজারের বেশি বাংলাদেশি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সমুদ্রপথে ইতালিতে প্রবেশ করেছেন প্রায় এক লাখ ৫৩ হাজার অভিবাসী। সমুদ্র পথে আসা অভিবাসীদের শীর্ষ দেশগুলোর তালিকায় চতুর্থ স্থানে আছেন বাংলাদেশিরা।

সমুদ্রপথে চলতি বছরের অভিবাসী আগমনের প্রাথমিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বছরের শুরু থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইতালির উপকূলে এসে পৌঁছেছেন এক লাখ ৫২ হাজার ৮৮২ জন অভিবাসী, যা ২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় ৬২ শতাংশ বেশি।

গত বছর মোট ৯৫ হাজার ৭৫৮ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী ইতালিতে এসেছিলেন। অপরদিকে, ২০২১ সালে ভূমধ্যসাগর পার হয়ে এসেছিলেন ৬৩ হাজার ৬২ জন।

মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যানে অভিবাসীদের শীর্ষ ১০ দেশের তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। যাদের মধ্যে প্রথম স্থানে আছেন আফ্রিকার দেশ গিনি থেকে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। দেশটি থেকে চলতি বছর ইতালিতে আসা অভিবাসীর সংখ্যা ১৮ হাজার ১৬৪ জন।

তালিকার দ্বিতীয় শীর্ষ দেশ তিউনিশিয়া। প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদের কর্তৃত্ববাদী শাসন ও দারিদ্র্য থেকে পালিয়ে ইতালিতে এসেছেন ১৭ হাজার ৭৩ জন অভিবাসী।

আফ্রিকার আরেক দেশ আইভরি কোস্ট আছে তৃতীয় নম্বরে। দেশটির ১৫ হাজার ৯৭২ জন নাগরিক এ বছর ইটালির বিভিন্ন উপকূলে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে এসেছেন।

বছরের শুরু থেকে অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশিরাও ছিলেন আলোচনায়। লিবিয়া থেকে অনেক বাংলাদেশি ইতালির পথে যাত্রা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় চতুর্থ স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশিরা। মোট ১২ হাজার ১০০ জন বাংলাদেশি ভূমধ্যসাগরের বিপদ সংকুল পথ পেরিয়ে ইতালিতে যেতে সক্ষম হন।

তালিকার পাঁচ নম্বরে আছে মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতময় দেশ সিরিয়া। এছাড়া ছয় নম্বরে আছে আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসো। দেশটিতে এ বছর সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনা ঘটে।

দক্ষিণ এশিয়ার আরেক দেশ পাকিস্তান আছে সাত নম্বরে। ২০২৩ সালে মোট সাত হাজার ৫৬৫ জন পাকিস্তানি নাগরিক ইতালিতে এসেছেন। এছাড়াও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পাকিস্তানি এ বছর ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে নিহত হয়েছেন।

শীর্ষ ১০ দেশের তালিকার বাকি দুই দেশ আফ্রিকার দেশ মালি ও সুদান। এছাড়া তালিকার বাইরে ৪১ হাজার ৪৬৮ জন অভিবাসী অন্যান্য দেশগুলো থেকে চলতি বছর ইতালিতে এসেছেন।

সূত্র : ইনফোমাইগ্রেন্টস

 


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ